পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ଐଷ୍ଟା দেখিতে পাই, তাহাতে তেমন কিছুই নাই। তাহার মস্তকে দীর্ঘ জটা নাই, কপালে সিন্দূরের ঘটাও নাই, চাহনিতে অতৃপ্ত আকাঙ্ক্ষার ছায়। নাই, হস্তে ভিক্ষাপাত্ৰও নাই। চেহারা প্রকৃতই সুন্দর, দীর্ঘ নয়নের দৃষ্টি উজ্জল, ললাট উন্নত ও প্রশস্ত, বক্ষঃস্থল বিশাল, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বলিষ্ঠ { অদ্ভুতের মধ্যে এই যে, যে সকল স্ত্রীলোক স্নান করিতে আসিতেছে বা স্নান করিয়া ফিরিতেছে, সে তাহাদের দিকেই চাহিয়া বসিয়া রহিয়াছে। , কৃষ্ণনাথ ধীরে ধীরে আসিয়া তাহার পাশ্বে বসিলেন । সে তাহা লক্ষ্যই করিল না ; যেদিকে চাহিয়া যেভাবে বসিয়া ছিল, সেই ভাবেই বসিয়া বুহিল। কিছুক্ষণ পরে কৃষ্ণনাথ বলিলেন, “এই দিকটায় একবার ফিরে চাই বেন ?” উদাসীন চকিতে একবার ফিরিয়া চাহিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “আপনি কে মহাশয় ?” কৃষ্ণনাথ। আমিও আপনাকে ঠিক এই কথাই জিজ্ঞাসা ক’রতে এসেছি । উদাসীন। জিজ্ঞাসাটা কিন্তু আমিই আগে ক’রেছি। “তবে আমিই আগে উত্তর করি” বলিয়া একটু হাসিয়া কৃষ্ণনাথ সংক্ষেপে নিজের পরিচয় প্ৰকাশ করিলেন । আকৃতিবিশেষের এমন একটা বিশেষত্ব থাকে যে, দর্শনমাত্রেই দর্শকের হৃদয়ে একটা অকারণ বিদ্বেষ অথবা অনুরাগের উৎপত্তি হয়। কৃষ্ণনাথকে দেখিয়া ও তাহার কথা শুনিয়া উদাসীন আর অধিকক্ষণ র্তাহার প্রতি ঔদাসীন্য দেখাইয়া থাকিতে পারিল না ; ফিরিয়া বসিয়া আলাপে প্ৰবৃত্ত RR9 )