পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दल কমলা কথা কহিতে পারিল না। সুধাংশু প্ৰণামান্তে বিদায় লইয়া আসিয়া, নামিয়া যাইবার সিড়ির দুই তিনটা ধাপ অতিক্রম করিয়াছে, এমন সময়ে কমলা উঠিয়া আসিয়া তাহাকে ডাকিয়া বলিল, “আমার একটি অনুরোধ রাখবে, ঠাকুরপো ?” সুধাংশু-ফিরিয়া, নতমুখে দাড়াইয়া বলিল, “আদেশ কর!” । কমলা। আমার কাছে সত্যি ক’রে যাও যে, রাগ ক’রে গুরুজন কারুকে কোন অপমানের কথা ব’লবে না ! সুধাংশু গভীরভাবে একটু হাসিয়া বলিল, “তোমার আদেশের চেয়ে কি আমার সত্যি বড়, বউদিদি ?—তুমি আমার হাত ও মুখ বেঁধে দিলে বটে, কিন্তু বিধাতার হাত ত বেঁধে রাখতে পারবে না ।” সুধাংশু ধীরে ধীরে নামিতে লাগিল ;-“র্তার সন্ধান হ’লে একটা” খবর দিও”।‘বলিয়া কমলা ফিরিয়া গেল। কমলা ঘরে আসিয়া চোখদুটিকে ভাল করিয়া মুছিয়া ফেলিল। সন্ধ্যার সময়ে সে হেমন্তের মুখে শুনিল, সুধাংশু চলিয়া যাইবার সময়ে কৃষ্ণনাথের সঙ্গেও দেখা করিয়া যায় নাই। একখানা রেলগাড়ী হাবড়া ছাড়িয়া কালকা যাইবার জন্য ছুটিতেছিল। মধ্যশ্রেণীর একটা কামরায় অন্যান্য আরোহীর মধ্যে একজন সন্ন্যাসী বসিয়া ছিল। " আকৃতি দেখিয়া সন্ন্যাসীর বয়স বেশী বলিয়া বোধ হয় না। তবে তাহার মুখখানি যেমন কচি কচি, দাড়ি ও জটাগুলি ঠিক তেমন নহে; সেগুলি যেন পেশাদারী যাত্রায় সাজা-সন্ন্যাসীর মত কেমন খাপছাড়া ধরণের। ২৩৩