পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

夺可可协 সন্ন্যাসী বাবাজীর চাহনিটাও ঠিক ঈশ্বরপরায়ণ, সংসারত্যাগী মুমুঙ্গুর মত স্থির ও প্ৰশান্ত নহে, বড়। উদাস, আর যেন সন্ধ্যাকালে কোন অজ্ঞাত, বিজন গিরিসঙ্কটে পথহারা পথিকের মত আকুল ও চঞ্চল। অন্যান্য আরোহীরা সকলেই কথাবাৰ্ত্তায় রেল-গাড়ীতে যাওয়ার কষ্টটাকে একটু লঘু করিয়া লইতেছিল ; সন্ন্যাসী কাহারও সঙ্গে কথা কহিতেছিল না, বোধ হয় কাহারও কথা শুনিতেও ছিল না । সে আপনার চিন্তা লইয়া একটি কোণে বাহিরে মুখ বাড়াইয়া বসিয়া ছিল। আরোহীরা একে একে সকলে নামিয়া গেলে, সন্ন্যাসী একাকী হইয়া যেন একটু স্বচ্ছন্দ বোধ করিতেছিল; আবার একজন যুবা আসিয়া সেই কামরায় উঠিল। যুবারও আকৃতি বেশ সুন্দর, পরিচ্ছদাদিও বেশ সম্পন্নাবস্থার পরিচায়ক : মুখখানি। কিন্তু বেশ প্ৰফুল্ল নহে। তাহার বিশাল ললাটে দীর্ঘ দুশ্চিন্তা যেন একটা রেখা অঙ্কিত করিয়াছিল এবং নেত্রক্ৰোড়ে প্ৰগাঢ় একটা কালিমা ও প্ৰজাগর-শ্রান্তিও লক্ষিত হইতেছিল। সেও গাড়ীতে উঠিয়া, সন্ন্যাসী যে ধারে বসিয়াছিল। তাহার বিপরীত দিকের একটা কোণে বসিয়া বাহিরে চাহিয়া নিজের চিন্তায় মগ্ন হইয়া রহিল। বহুক্ষণ অতীত হইল। গাড়ীখানা বহুপথ অতিক্ৰম করিয়া বহুদূরে আসিয়া পড়িলে, যুৱা যেন নিজের চিন্তায় পরিশ্রান্ত হইয় তাহা ত্যাগ করিয়া, সন্ন্যাসীর নিকটে সরিয়া আসিয়া তাহার সহিত আলাপে প্ৰবৃত্ত হইল। অনেক সময়ে এমন ঘটিয়া থাকে যে, পরস্পরের পরিচয়াদি জানিবার পূর্বেই কথায় কথায় দুইজনের মধ্যে কেমন একটু শ্ৰীতি জন্মিয়৷ যায়। সন্ন্যাসী ও যুবার মধ্যেও যেন সেই ভাবটা ঘটিয়া গেল। ভারণ্ঠের sR05;