পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कभल। রহিল, যেন সে তাহাকে আর কখনও দেখে নাই । সেই ইন্দুকলার মত শুভ্র ও মসৃণ, ক্ষুদ্র কপাল, তাহার নিম্নভাগে তুলিকাচিত্ৰিত ধনুরেখার মত - কৃষ্ণ ক্ৰযুগ, চিত্ৰিত পদ্মে চিত্রিত ভ্রমরের মত দীর্ঘ ও কৃষ্ণপক্ষ্মযুক্ত নিদ্রানিমীলিত দুইটি স্থির চক্ষু, ফুটন্ত গোলাপেয় দুইখানি পাপড়ির মত নিদ্ৰালস্যে ঈষৎ বিযুক্ত ওষ্ঠাধর, তাহার মধ্যে পদ্মপলাশগর্ভে ক্ষুদ্র মুক্তার মত সম্মুখের কয়েকটি শুভ্র ও ক্ষুদ্র দশনের অগ্রভাগ, সেই সুপ্তিশিৰ্গিলিত বিপুল কৃষ্ণকবরী ও নিদ্রাবেশে অলসবিন্যস্ত সেই কুসুমপেলাব দেহখানি বিরাজ কতবার দেখিয়াছে, তথাপি সমস্তই যেন তাহার চক্ষে নূতন প্রতিভাত হইতেছিল। বিধাতা তাহার জন্যই যে এত রূপের সৃষ্টি করিয়াছেন ইহা ভাবিয়া তাহার হৃদয় সৌভাগ্য-গৰ্ব্বে ভরিয়া উঠিতেছিল, এমন সময়ে কমলা জাগিয়া পাখাখানা তুলিয়া লইয়া নাড়িতে নাড়িতে বলিল, “এখনও ব’সে আছ ?” বিরাজ। কেন-ব’লতে পার ? কমলা। আরও খানিকক্ষণ কিছু প’ড়বে কি না। তাই ভাবিছ বুঝি ?” বিরাজ। না-কমলা!—চুরি ক’রে তোমাকে দেখু তেছিলুম। : কমলা সলজ্জভাবে একটু কাসিয়া বলিল, “তোমাদের জুলাইনের বইএ এমন চুরির কিছু শাজা নেই কি ?” বিরাজ। তা জানি না ; তুমি যদি কিছু শাজা দেওয়া উচিত মনে কার-নিতে প্ৰস্তুত আছি । কমলা । তবে কাল থেকে আর এ ঘরে বই এনে না ! বিরাজ। কেন-বই তোমার কি ক’রেছে, কমলা ? কমলা। তুমি যখন কালকেতায় গিয়ে—কি সদরে ব’সে বই পড়, আমি কি তোমাকে আগুলিতে যাই ? &S