পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমন্ম AqbuyPuumumr সুধাংশু গভীরভাবে বলিল, “অনেক—সে কথা আবার কেন ?” রায় মহাশয়ের প্রশ্নটা সুধাংশুর চিত্তে একটা চিন্তার তরঙ্গ তুলিয়া দিল। বিবাহে একদিন যে তাহার খুবই আপত্তি ছিল এবং কমলা যে, তাহার সে আপত্তির খণ্ডন করিয়া তাঙ্গাকে তাহাতে রাজী করিয়া গিয়াছিল তাচ দেখা গিয়াছে। কমলার মৃত্যুর পর হইতে আবার একটা, নূতন আপত্তি নিদাঘ দিনান্তের দিগন্ত প্রসারী নিবিড় কালো মেঘের মত তাহার হৃদয়ের গুপ্ত প্ৰদেশ হইতে ধীরে ধীরে মাথা তুলিয়াছিল। কমলা যেদিন কাশীতে করুণার মুখখানি দেখাইয়া সুধাংশুকে বলিয়াছিল, “অনেক দেশ ত ঘুরেছ, ঠাকুরপো, এমন মুখ আর কোথাও দেখেছি ?”—সেই দিন হইতে মাঝে মাঝে প্রায়ই করুণার সেই অচিরপ্রবৃত্ত ‘ প্ৰভাতের ঈষতৃন্মেষিত পদ্মের মত,ব্রীড়াবিনত, লজ্জাসন্ধুচিত মুখখানি সুধাংশুর মানসে ফুটিয়া উঠিত। সেইদিন চাইতে প্রায়ই তাহার মনে চাইত-সংসারটা যেন বড়ই নীরস, দৈনিক কৰ্ত্তব্যগুলি বড়ই গুরুভারাপন্ন। সেই দিন হইতে তাহার মন যেন কি একটা খুজিয়া বেড়াইত, তাহা না পাইয়া বিষন্ন ও ক্ষুব্ধ হইয়া উঠিত ; তাঙ্গার মনে হইত, য়েনা তদভাবে তাহার জীবনটাও অসম্পূর্ণ। r এমন অনেক কথা আছে যাহা একসময়ে। চেষ্টা করিয়াও বুঝিতে পারা যায় না, আবার সময় ক্ৰমে আপনা হইতেই হৃদয়ঙ্গম হইয়া থাকে। পত্নীপ্ৰেমে মুগ্ধ বিরাজের সেইল-“সংসারে অনেক রকমের অনেক দুঃখ, অনেক অভাব ও অশান্তি ; কিন্তু আত্মহারা হয়ে যে কারকে ভালবাসতে পেরেছে, আপনার প্রাণকে আর ১ একজনের প্রাণের সঙ্গে 'য়ে দিতে পেরেছে, কোন দুঃখই আর তার দুঃখ ৱ’লে বোধ হয় { २भेरै