পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/৩০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

क्भा সে কথা কে শুনে ? তরঙ্গিণী সুধাংশুর সঙ্গে পরামর্শ করিয়া যেন একটা যজ্ঞের আয়োজন করিয়া তুলিল। 臀 রায় মহাশয় যেন যৌবনের বল ফিরিয়া পাইয়াছেন। কৃষ্ণনাথ আসিতেছেন – এই সংবাদ পাইয়াই তিনি হাত-কাটা একটা পিরান এবং নূতন একখানা চশমাও খরিদ করিয়া ফেলিয়াছেন। কৃষ্ণনাথের অভ্যর্থনার পাছে কিছু ত্রুটি হয়, এই আশঙ্কায় সকলের অপেক্ষা তিনিই অধিক ব্যস্ত ; কিন্তু সে ব্যস্ততার মধ্যে ও মাঝে মাঝে সুধাংশুকে নিকটে ডাকিয় তাহার কাণে কাণে-“সে কথাটা কখন হবে ?--যেন ভুল না হয় !”-এই কথাটা বলিতে ভুলিতেছেন না। আহারান্তে কৃষ্ণনাথ নীলকমলের উপরের দালানে বসিয়া বিরাজের সঙ্গে কথাবাৰ্ত্ত কহিতেছিলেন। নীচের দালানে তরঙ্গিণী পারুলকে • ধরিয়া বসাইয়া তাতার চুল-বাঁধা লইয়া ব্যস্ত ছিল। সুধাংশু এক একবার উপরে গিয়া কৃষ্ণনাথ ও বিরাজের কথাবাৰ্ত্তা শুনিতেছিল, আর মাঝে মাঝে নামিয়া আসিয়া, প্রসাধনের ব্যাপারটা যাহাতে শীঘ্র শীঘ্ৰ সমাধা হয়। সেই জন্য তরঙ্গিণীকে তাগাদা করিতেছিল। মধ্যে একবার উপরে গিয়া সুধাংশু শুনিতে পাইল, কৃষ্ণনাথ বিরাজকে বলিতেছেন—“আমারও দৃঢ় বিশ্বাস, বৎস, যা যায় তা একেবারে যায় নাচিরদিনের জন্যে কিছুই তিরোহিত হয় না ; সবই আছে-সবই থাকে, শুধু স্থানান্তরে গিয়ে রূপান্তরে থাকে। যাওয়ার মানে আর কিছুই নয়, শুধু পরিবর্তন-স্থান, নাম ও অবস্থার পরিবর্তন। - যা হারিয়েছি তা যে আর কখন পাব না-এমনটা আমার মনে হয় না। ভুল হ’লেও আমি এ ধারণাটা পরিবৰ্ত্তিত ক’রতে চাই না-এটা বিয়েগীর একটা ভারী সাম্বনা। তবে যে মোহিনী শক্তি সংসারের যাবতীয় কঠোর কৰ্ত্তব্যকে মনোহর Rs