পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/৩০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক’রে রাখে, তার অভাবে হৃদয়ে যে একটা বিশাল শূন্যতা এসে পড়ে তাও সত্য। সে শূন্যতার যে কিছুতেই পূরণ হয় না-বিশ্বের স্থান হ’য়েও যে তার অনেকটা খালি প’ড়ে থাকে তা আমিও বুঝি। কিন্তু উপায় কি ? নিয়তি ত আমাদের ইচ্ছানুবৰ্ত্তিনী নয়—আমরাই তার ক্রীড়া কন্দ্ৰক।”—এই পর্যন্ত বলিয়া, একটু চুপ করিয়া থাকিয়া, তিনি আবার বলিলেন, ‘সংসারীর পক্ষে স্ত্রী-বিয়োগের মত এমন দুঃখ আর নেই। ঘর, সংসার, কিছুই কিছু নয়—গৃহিণীই পুরুষের গৃহ । গৃহাশূন্য হ’য়ে সংসার ক’রতে কার ভাল লাগে ? কিন্তু কতকগুলি কৰ্ত্তব্যের অনুরোধে তা ক’রতেও হয়। হাতে রং বা ফেরাই না থাকলে যেমন তাস খেলাতে মন লাগে না; অথচ আর আর যারা খেলাচ্ছে তাদের জন্যে খেলে যেতেও হয়, এওঁ যেন সেই রকম। তবে যারা স্ত্রীর চিতা নিভতে না নিভতে আবার চেলী প'রে টোপর মাথায় দিতে পারে তাদের কথা স্বতন্ত্ৰ”— কৃষ্ণনাথের শেষ কথাগুলি সুধাংশুকে ভাল লাগিল না। আজ তিনি যে উদ্দেশ্যে আসিয়াছেন তাহাতে র্তাহার মুখে এ কথাগুলি যেন বড় অপ্রাসঙ্গিক বলিয়া তাহার মনে হইল ; সে অপ্ৰসন্নমুখে নামিয়া আসিল । সুধাংশু নিম্নে বসিয়া তরঙ্গিণীর সঙ্গে কি একটা পরামর্শ করিতেছিল, সেই সময়ে বিরাজ নামিয়া আসিয়া, তাহাকে একটু আড়ালে ডাকিয়া বলিল, “ও-সুধা ! কৃষ্ণনাথ বাবু যে অবিবাহিত মেয়েকে রেখে আগে ছেলের বিয়ে দিতে রাজী হন না ।” সুধাংশু। তিনি যে কিছু অন্যায় ব’লছেন তা ত বলা যায় না, দাদা! বিরাজ। কিন্তু সে অপেক্ষায় পারুলকে ত আর বেশীদিন রাখাও চলে না! সুধাংশু । অপেক্ষারই বা দরকার কি ?—দু’- રોઝ