কমলা যে সব সম্পত্তি আপনি কিনে নিয়েছেন তার কথাই নেই, যেগুলি বাধা আছে শুনতে পাই, ত’তে আমার আইন-সঙ্গত কোন দাবী দাওয়া থাক বা নাই থাক,আমার স্ত্রীর গয়না বেচে টাকা দেব,দয়া ক’রে আমাকে diभन একটি সম্পত্তি ফিরিয়ে দিন যাতে আমার ভাতের অভাবটা না থাকে৷ ” প্ৰথমে ত হেসেই উড়িয়ে দিলেন, তার পর পেড়াপীড়ি ক’রুতে রেগে উঠে, আমাকে চোখ রাঙ্গিয়ে হঁকিয়ে দিলেন । ভারী রাগ হ’ল-আদালতের আশ্রয় নিলুম। ফলে কিন্তু কিছুই হ’ল না। যারা জানে— যাদের মুখ থেকেই আমার শোনা, তারাও আদালতে গিয়ে, নীলু কাকার দিক হ’য়ে স্বচ্ছন্দে মিথ্যে ব’লে এল ! লাভে হ’তে স্ত্রীর দু’একখানি গয়না নষ্ট হ’য়ে গেল । সেই থেকে ভেবে ভেবে যেন কেমন হ’য়ে গেছি! ভাল ছিলুম—মন্দ হ’য়েছি, আস্তিক ছিলুম-নাস্তিক হ’য়েছি, আরও কি হ’ব তা জানি না, কিন্তু দুনিয়াটাকে বেশ ক’রে চিনে নিয়েছি। নলিনী । দুনিয়া এই রকমই। -তোর বরাতে ছেল না। তাই গেছেবরাত কখন ফেরে আবার হবে, তাই ব’লে ফৰ্ত্তি ছাডুবি কেন ?— যামিনী। তা বই কি—আপনার philosophyই ত ব’লেছে, “Eat, drink and bé merry !” হীরালাল। ফৰ্ত্তি ক’রব কি-সমাজের অত্যেচারে, সংসারের অযথা । বৈষম্য, অবিচার আর মানুষের দুব্যাবহারে আমি একেবারে হাড়ে হাড়ে জ’লে গেছি! নীলুকাকার রাজার মত বাড়ী-আর আমার ভাঙ্গা কোঠাতে বৃষ্টির দিনে এক তিল শুকুন ঠাই থাকে না কেন ? তঁর স্ত্রীর আর বউএর গায়ে হীরে মুক্তো ধরে না-আর आभांब्र औब्र শত স্থানে সেলাই-করা ছেড়া কাপড়খানি ও চামের মত কালো কেন ? তার ছেলের আর ভাইপোর ক্ষীরে সরে অরুচি-আর আমার ছেলেমেয়ের পথের পোড়া মুড়িটিও }
