পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

तभढन পাইল না। সেই সময়ে হীরালাল গৃহে ফিরিতেছিল, দুইজনে দুই চারিটা কথা হইল। তাহার পর হীৱালাল বাড়ী চলিয়া গেল। মোহিনীও দ্বার রুদ্ধ করিয়া আসিয়া শয়ন করিল। কমলা কোথায় গেল ? সেই ঘনশব্দবিক্লাবা, বৃষ্টিঝটিকাকুলা, তিমিরা রজনীতে কুলবালা কোথায় আশ্রয় লইল ? বাড়ীর বাহিরে দাড়াইয়া কমলা চক্ষু হইতে অঞ্চল অপসৃত করিয়া দেখিল, প্রকৃতি ও তাহার শ্বশ্ৰদ্ধদেবীর মত ভীষণ মূৰ্ত্তি ধরিয়া যেন তাহার উপরে ভ্ৰকুটি করিতেছে--রাত্রি তাহার ভবিষ্যতের মত গাঢ় তমসাচ্ছন্ন ! তাহার পশ্চাতে স্বামিগুহের দ্বার রুদ্ধ, পুরোভাগে প্রগাঢ় অন্ধকার, উপরে নিবিড় মেঘমালা, মুষলধারায় বৃষ্টি নামিতেছে, ঝটিকার বেগে বায়ু বহিতেছে, গভীরনাদে মেঘ ডাকিতেছে, পৃথিবী মধ্যে মধ্যে বিদ্যুৎ-প্ৰভায় জাগিতেছে, তখনই আবার ঘনতিমিরীগর্ভে ডুবিয়া যাইতেছে! মানুয্যের ত কথাই নাই-নিশাচর পশুপক্ষীও সেরূপ রাত্ৰিতে বিবরাবাস বা বিটপিনীড় ছাড়িয়া বাহির হয় নাইসেই কেবল আশ্রয়ের বাহিরে । অশ্রু মাৰ্জন করিয়া কমলা ভাবিল, মোহিনী এখনই দ্বার খুলিয়া তাহাকে ডাকিয়া লইবে । কিন্তু কতক্ষণ চলিয়া গেল কেহই দ্বার খুলিয়া দিল না। - বায়ু বেগে বহিয়া তাহার সিক্ত বসন উড়াইয়া ফেলিতে চেষ্টা করিতেছিল। বায়ুসঞ্চালিত বৃষ্টিবিন্দু তাহার আদ্র বসন ভেদ করিপ্পা করকার মত তাহার গাত্রে প্রহার করিতেছিল। শীতে তাহার বুকের ভিতরটা দুরু দুরু করিয়া কঁপিয়া উঠিতেছিল। কিছুক্ষণ দাড়াইয়া থাকিয়া, &b