পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

季瓦州 কমূল খসরোধ করিয়া বিরাজের কথা শুনিতেছিল। তাহার কথা শেষ হইলে একটা নিঃশ্বাস ফেলিয়া বলিল, “এই অন্যায়?--তাই ऊाल-अभि বলি আর কিছু! ত-এ আর অন্যায় কি ? –এ ত তোমার উপযুক্তই ক’রেছ! যাদের ক্ষুদ্র মন তারাই আপনাদের তুচ্ছ সুখ দুঃখ নিয়ে গুরুজনের অবাধ্য হয়—তাদের কথা অমান্য করে | তুমিও যদি তাই ক’রবে। তবে কেন আমি জন্মে জন্মে তোমার দাসী হবার জন্যে দেবতাদের কাছে প্রার্থনা করি ? অভাগীর সঙ্গে বে দিয়ে তাদের কোন সাধ-আহ্লাদই মেটে নি—তুমিও সুখী হ’তে পার নি। বে করা! কিন্তু আমি এমন কি ক’রেছি যে আমাকে একেবারে ত্যাগ ক’রুতেই হ’বে ? এখন যতদিন বাবা আছেন আমি কিছুই চাইব না-ৰ্তার অবর্তমানে তোমাদের বাড়ীতে কেবল একটু ঠাই দিও ! তাতে আর দোষ কি হবে ? এই যে কত ছােট জাতের মেয়ে কত বড় বড় ভদ্রলোকের বাড়ীতে দাসী থাকে ! আমিও তেমনি থাকিব ! তাতেও যদি সমাজের আপত্তি হয়-দশজনের কাছে তোমাদের মাথা হেঁট হয়, তবে তাও চাই না ; কিন্তু আমার ও যে আর কোথাও দাঁড়াবার ঠাঁই নেই।” . ... و কমলা চুপ করিল। অন্তরস্থ বিষাদের একটা স্নান ছায়া গগনসঞ্চারী বিহঙ্গের ছায়ার ন্যায় তাহার মুখের উপর দিয়া সরিয়া গেল। একটা দীর্ঘশ্বাস তাহার বক্ষঃস্থলকে ঈষৎ একটু স্ফীত করিয়া ধীরে ধীরে নিঃশব্দে নির্গত হইল। সেই সামান্য নিঃশ্বাসবায়ুতেই বিরাজের হৃদয়টা যেন প্রবল।বাত্যাহত ক্ষুব্ধ জলধির ন্যায় আলোড়িত হইয়া উঠিল। সে অন্যদিকে দৃষ্টি ফিরাইয়া বসিয়া অধোমুখে ভাবিতে লাগিল। তাহার পূর্বের সেই সংশয়, বিতর্ক, জনক-জননী ও সহধৰ্ম্মিণীর, R]