পাতা:কমলা - তারকনাথ বিশ্বাস.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԵ কমল । , ভগবতী জিজ্ঞাসা করিলেন “ ছরি } আজ যে তোমার সইকে দেখিনি ? ? তখন হরিদাসীর হৃদয়ে কমলার অপূৰ্ব্ব ছবি উদিত হইল। মনে মনে ঈশ্বরকে বলিল “ ভগবান্‌ দেখিও, যেন অধিনীকে এ মুখ হইতে বঞ্চিত করিও না ’ ক্রমে আপনার মুখের সহিত কমলার দুঃখের তুলনা আপনা হইতে হৃদয়ে উদিত হইতে লাগিল । হরিদাসীর চক্ষে জল আসিল । ভগবতী। তুমি কাচ ? হরিদাসী । হ্যা । ভগবতী । কেন ? হরিদাসী । সইয়ের কথা মনে হ’ল অ’র প্রাণ কেমন করে উঠল, মই যখন আমার কাছে তার জীবনের অসারত প্রকাশ করে দুঃখ করে, তখন আমার প্রাণ ফেটে যায় । বড় কষ্ট হয় । সে দিন কে একজন বায়ু সইয়ের বাবাকে বিধবা বিবাহ মতে সইয়ের বিয়ে দিতে বলেছিলেন, তাতে তিনি বাবুটার উপর ভারি রাগ করেছিলেন। আহা ! মইয়ের বাপ যদি প্যারীর সঙ্গে সইয়ের বিয়ে দিতেন, তা ছলে সে বড় মুখী হত । তা তিনি দিবেন কেন, তাকে ত ভুগতে হয় না! আচ্ছা ভাই জিজ্ঞাসা করি পুৰুষরা এত স্বার্থপর কেন ?