পাতা:কমলা - তারকনাথ বিশ্বাস.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 কমলা । ছিলাম, মুখ কি তাছা জানি না, কিন্তু মা এ হতভাগিনীর কত লাঞ্ছন, কত গঞ্জনা, কত যাতনা, দেখ ! শ্যামমোহিনী তাছার কোন প্রতিউত্তর না দিয়া সজল নয়নে তথা হইতে প্রস্থান করিলেন, কমলা তথায় অঝোৱে কঁদিতে লাগিল। ক্ষণেক পরে হারাণী নাপিত্তানী আসিয়া উপস্থিত। কমলা তাহকে ঠাকুরণ দিদি বলিত, সুতরাং সে আসিয়াই বলিল “ কি লো নাতনি শুনূচি কি ? " কমল দুঃখের সহিত বলিল “ যা শুৰুচে ভাই শুনৃচে । ” নাপিতনী । তার ভয়কি, একি কেউ টের পাবে। কমলা। কি টের পাবে ? নাপিতনী ( যা হয়েছে ! কমলার বড় দুঃখ হইল, সে কথার কোন উত্তর না দিয়া কঁদিতে লাগিল । নাপিত্তানী। আমি শুনেছি বলে লজ্জায় কাদছিস, তা আমাকে লজ্জা কি ? বলতে গেলে কিছু থাকেন, কত লোকের কত হ’ল, তা আমি থাকৃতে কি আর কেউ টের পায় ! তা তুই যেমন পাগলী আমায় আগে বলতে নেই,—কাল বিকাল আসবে সব ঠিকু ছয়ে যাবে। চুপকর কাদিস নে ।