পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম পরিচ্ছেদ >Q> কুমারগুপ্ত হাসিয়া কহিলেন, “মহাদেবি, পুত্র যখন প্রথম হণ-অভিযানে গিয়াছিল, তখন ত বিচলিত হও নাই ?” অশ্র-অন্ধ নয়নে মহাদেবী কছিলেন, “প্রভু, স্কন্দের মুখখানি আর হয় ত দেখিতে পাইব না।” “অমঙ্গলের কথা বলিতে নাই, হৰ্ণবিজয়ী পুত্র আবার তৃণ বিজয় করিয়া ফিরিয়া আসিবে ।” “মহারাজ, বাসুদেবের আশাব্বাদে স্কন্দ আমার সর্বত্র জয়লাভ করিবে, কিন্তু সে যখন ফিরিয়া আসিবে, তখন হয় ত আমি আর থাকিব না ।” 零 “দেবি, তুমি গুপ্ত-কুল-লক্ষ্মী,—এমন কথা মুখে আনিতে নাই।” , মাতা ও অরুণার অশ্রুসিক্ত বদনমগুল চিন্তা করিতে করিতে পাটলিপুত্রের লক্ষ লক্ষ নাগরিকের জয়ধ্বনির মধ্যে পরমেশ্বর পরমবৈষ্ণব যুবরাজ ভট্টারক স্কন্দগুপ্তদেব দ্বিতীয় চূণ-অভিযানে মাত্রা করিয়াছিলেন । অষ্টম পরিচ্ছেদ سرچيچصجيم،بچچسسچيچمب লশ কৰুর = আবরুণ অসি পর্য্যন্ত প্রশস্ত, রম্য বারাণসী নগরীর উপকণ্ঠে একটি রমণীয় উদ্যানে পুষ্পিত অশোক-তরুতলে রক্তবসনপরিহিত জনৈক কাপালিক সন্ধ্যাগমে হোমের আয়োজন করিতেছিল। তাহার নিকটে বসিয়া এক বিগত-যৌবন সুন্দনী তাহাকে সাহায্য করিতেছিল। রমণীয় উদ্যানের সুন্দর সরোবরের শ্বেত-কৃষ্ণ-মৰ্ম্মর বিন্যস্ত সোপানে বসিয়া শিশিরস্নাত শেফালীর দ্যায় অপরূপ সুন্দরী এক তরুণী গাত্র-মার্জন করিতে