পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ ミン○ “অনন্তার আদেশ, স্বন্দগুপ্তকে বন্দী করিতেই হইবে।” পারেন ত আপনিই করুন।” “আমিই করিব।” • চন্দ্রসেন যুবরাজের মস্তক হইতে বহুমূল্য উষ্ণীয় খুলিয়া লইয়া ঠাঙ্গকে বন্ধন করিল, বন্ধনকালে মাগধ-নায়ক গণের অসির ঝঙ্কার শ্রুত হইল, কিন্তু সুবরাজ ইঙ্গিতে তাহাদিগকে নিরস্ত করিলেন। বন্ধন শেষ হলে চন্দ্রসেন জিজ্ঞাসা করিল, “কারাগার কোথায় ?” সুবরাজ কঠিলেন, “চলুন, আমি পথ দেখাইরা লইয়া যাইতেছি।” সঙ্গস ভানুমিত্র বলিয়া উঠিলেন, “চন্দ্ৰসেন, সুবরাজের আদেশে আমরা তোমাকে ক্ষমা করলাম বটে, কিন্তু বহিদেশে সাম্রাজ্যের পঞ্চলক্ষ সেনা আছে, বার বার বলিতেছি সাবধান ।” চন্দ্রসেন যুবরাজের বন্ধনরজ হস্তে লইয়া শিবির হইতে নিস্ত্রণ স্ত হইল। বস্ত্রাবাসের চতুদিকে সাম্রাজ্যের পঞ্চলক্ষ সেন শ্রেণীবদ্ধ হইয়া দাড়াইয়াছিল, তাঙ্গর সুবরাজের হস্তে রঙ্কু দেখিয়া গর্জন করিয়া উঠিল, মহাসাগরের উন্মত্ত উৰ্ম্মিরাশির দ্যায় পঞ্চলক্ষ মাগধ-সেন চন্দ্রসেনকে বেষ্টন করিল। শান্তভাবে যুবরাজ তাহাদিগকে নিরস্ত হইতে অনুরোপ করিলেন। ক্ষুঃমনে মাগধ-সেনা চন্দ্রসেনের রক্তদর্শনে নিরস্ত হইল, স্বেচ্ছায় সমস্ত সেনা ও নায়কপরিবৃত হইয়া সুবরাজভট্টারক স্কন্দ গুপ্ত বাহলাকনগরের পাষাণনিৰ্ম্মিত কারাগারে প্রবেশ করিলেন ।