পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Հ Հ8 করুণা পুণ্য, আমি আমার আবশ্যকমত মনের মধ্যে গড়িয়া লই । বলি চন্দ্রসেন ত শকমগুলে, আজি সঙ্ঘারামে রাত্রিবাস করিলে ক্ষতি কি ?” “তুমি মর, চিতায় আরোহণ কর, আমার রাত্রিবাসের সাধ অনেক দিন মিটিয়াছে, দেহের ও মনের ঘেীবন উভয়ই অতীত হইয়াছে।” “কেবল চন্দ্রসেনকে দেখিলে ষোড়শীর মতিগতি ফিরিয়া আসে না ?” “তুমি মর, তোমার মুখে আগুন ।” এই বলিয়া চত্বারিংশদ্বর্য দেশীয় প্রৌঢ় নবযুবতীর ন্যায় অঙ্গ দুলাইয় বক্র হস্ত করিতে করিতে কক্ষ চক্টতে নিস্ক্রান্ত হুইল । ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ হাহাকাঙ্কুর তরুণী পট্টমহাদেবী লাভ করিয়া বৃদ্ধ সম্রাটু কুমারগুপ্ত যখন বিলাসস্রোতে অঙ্গ ঢালিয়া দিয়াছিলেন, পাটলিপুত্রের প্রাচীন রাজ-প্রাসাদে যখন নিত্য মহোৎসব হইতেছিল, কাদম্ব গৌড়ীয় সুরাস্রোতে যখন ধবল মৰ্ম্মরনিৰ্ম্মিত প্রাসাদের কক্ষ গুলি প্লাবিত হইতেছিল, তখন প্রাচীন গুপ্তসমিজ্যের পশ্চিম প্রান্তে এক আজন্মমুখপালিত শ্রান্তিক্লেশানভ্যস্ত পঞ্চবিংশবর্ষীয় যুবা আর্য্যাবৰ্ত্তের পরিত্রাণের নিমিত্ত বদ্ধপরিকর হইতেছিল । যে মুহূৰ্ত্তে নবীন পট্টমহাদেবী অনন্ত বৃদ্ধ সচিব দামোদর শর্মার দণ্ডাজ্ঞা প্রচার করিতেছিলেন, সেই মুহূৰ্ত্তে সেই যুর ধূলিধূসরিত হইয়া অনশনক্লিষ্ট ভূৰ্ব্বল অশ্বপৃষ্ঠে পুরুষপুরের নিকটবৰ্ত্তী তুঙ্গগিরি-পৃষ্ঠে আরোহণ করিয়া আকুলনয়নে চতুদিকে দৃষ্টিপাত করিতেছিল। যতদুর দৃষ্টি যায় ততদূর