পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ পরিচ্ছেদ ૨ઉ તે “মাত্র তোমরা চারিজন ?” “না, সমগ্র গোঁড়, মাগধ, মালব ও সৌরাষ্ট্রগুল্ম।” “আমার সেনা বিদ্রোচী ?” “দেব, ইষ্ঠা প্রকৃত কথা, তাহারা দণ্ড গ্রহণ করিতে প্রস্তুত আছে ” “বিদ্রোহের দণ্ড কি তাহ জান ?” “মৃত্যু। দেব, দশ সহস্র সেনার অন্ত কামনা নাই ।” “কিরূপে মারিতে চাহ ?” “যুদ্ধে ” “বক্ষুর পরপারে হণদেশ আক্রমণ করিব, আমার সঠিত যাইবে ?” উত্তর না দিয়া সৈনিক চতুষ্টয় অভিবাদন করিল, তখন হর্ষ গুপ্ত পশ্চাৎ হইতে হাসিয়া উঠিলেন এবং কছিলেন, “দাদা, বিদ্রোহ মিথ্যা, ইঙ্গার মিথ্যাবাদ ।” সুবরাজ বিস্মিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “কেন ?” "ইহার কুণযুদ্ধে যাইতে চাহে, পাছে অন্ত গুল্ম ইহাদিগের পূৰ্ব্বে বক্ষু পার হয় সেই ভয়ে বিদ্রোহের ভান্‌ করিতেছে।” যুবরাজ সৈনিক চতুষ্টয়কে জিজ্ঞাসা করিলেন, “কোন কোন গুল্ম বিদ্রোঙ্গ হইয়াছে ?” একজন সৈনিক কহিল, “দেব, সমস্তই ” “তোমরা কোন কোন গুলোর সেনা ?” “গোড়ীয় মহাবলাধিকৃত ভানুমিত্রের, যুবরাজ ভট্টারকের, রাজা বন্ধুবৰ্ম্মার এবং সৌরাষ্ট্রীয় চক্রপালিতের ” “গোঁড়, মাগধ, মালব ও সৌরাষ্ট্রের সমস্ত সেনাই অদ্য বক্ষু পার হইবে, তোমরা অদ্য নাসার ।” সৈনিক চতুষ্টয় অভিবাদন করিয়া প্রস্থান করিল। শিবিরে শিবিরে তুমুল শঙ্খনিনাদ আরম্ভ হইল, মধ্যাঙ্গে পঞ্চাশং সহস্ৰ অশ্বারোহী সমভি ব্যাহারে যুবরাজভট্টারক স্কন্দগুপ্ত বক্ষুপার হইলেন। পরপারে তৃণসেন তাহাদিগের অভ্যর্থনার জন্য প্রস্তুত হইয়াছিল, গৌড়ীয় সেনা তীরবেগে স্বল্পতোয় তুষার-শীতল-সলিলা বক্ষুর জলরাশি অতিক্রম করিয়া পরপার আক্রমণ করিল, আর্দ্র সৈকত শত শত গৌড়ীয় অশ্বারোহী ও বনায়ুজ অশ্বের রুধিরে রঞ্জিত হইল, অন্ত সেনা নদীপার হইবার পূৰ্ব্বে তৃণসেন। পশ্চাদ্পদ হইল । সৈকতে দাড়াইয়া গরুড়ধ্বজহস্তে একজন অশ্বারোহী বলিয়া উঠিল, "করুণ!” বক্ষুবক্ষে অৰ্দ্ধপথে সে নাম, সে ধ্বনি শ্রবণ