পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ኟoo করুণ দেব । যুবরাজ, তোমার বন্ধুত্বই আমার পুরস্কার, আর একটি প্রার্থনা আছে । স্বন্দ । কি ? দেব । শতদ্রুর যুদ্ধের একটি নিদর্শন প্রার্থনা করি। স্বন্দ গুপ্ত কোষ হইতে ভগ্ন অলি নিষ্কাশিত করিয়া কছিলেন, “দেব, পিতৃদত্ত আসি শতদ্রর যুদ্ধে ভগ্ন ইয়াছিল, ইঙ্গতে সুবর্ণীক্ষরে আর্য্য সমুদ্রগুপের নাম অঙ্কিত আছে, গ্রহণ কর।” দেবধর ভগ্ন আসি গ্রহণ করিয়া অভিবাদন করিলেন। তখন বন্ধুবৰ্ম্ম জিজ্ঞাসা করিলেন, “দেব, নিদর্শন কি করিবি ?" দেব । সে অনেক কথা ভাই, আর একদিন বলিব । t বন্ধু । না, এখনই বল । দেব। বেলা বাড়িয়া চলিল, তোমাদের অনেক পথ চলিতে হুইবে । স্কন্দ । বল না ভাই, কতই বা বিলম্ব হইবে ? দেব। আমিও স্বৰ্গীয় পটুমহাদেবীর কক্ষে অমিয়াকে দেখিয়াছিলাম, সে অনেক দিনের কথা । তাহার পর দুই একবার নাট্যশালায় দৃষ্টি-বিনিময় হইয়াছিল— স্কন্দ । বন্ধু, তোর পিতৃপুণ্যফলে মালব-দুর্গস্বামিনী পুৰ্ব্বেই তোর হৃদয় অধিকার করিয়াছিল, নতুবা তোকে দেবধরের হস্তে মরিতে হইত। বন্ধু। পাগল আর কি, তুর্গস্বামিনী আর অমিয়াতে অনেক প্রভেদ ! দেব। সাবধান বন্ধু। স্কন্দ । আর বীরত্বে কাজ নাই, আমি স্বীকার করিতেছি যে, উভয়েই অপ্সরাবিনিন্দিতা । তাহার পর কি হইল ? দেব। আর কি! নয়নকোণের ভাষায় বুঝিলাম দেবী আমার প্রতি প্রসন্ন। একদিন মহানায়ক জয়ধবলের নিকট ঘটক প্রেরণ