পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○と● করুণা আরম্ভ করিলেন, “বন্ধুগণ, সেইজন্ত পবিত্ৰ-আর্যভূমি আজি বৰ্ব্বরের পাদস্পশে কলুষিতা, কপিশা, গন্ধার, উদ্যান ও পঞ্চনদ মরুভূমিতে পরিণত হইয়াছে। বন্ধুগণ, মাগধ কি এখন আত্মবিস্তৃত থাকিবে ? কপিশা হইতে মথুর। পর্যাপ্ত আৰ্য্যভূমি কি হশপাদভরে কম্পিত হুইবে ? আৰ্যারমণ কি হণের দাসী হইবে ?” বজ্রনির্ঘোষের হায় জয়ধ্বনি শ্রুত হইল, ঝটিক-তাড়িত সমুদ্র-তরঙ্গের স্থায় জনসঙ্ঘ উদ্বেলিত হইয়া উঠিল, সে চঞ্চলত প্রশমিত হতে অদ্ধদণ্ড অতিবাহিত হইল । নাগরিকগণ শান্ত হইলে সম্রাট পুনরায় বলিতে আরম্ভ করিলেন, “বন্ধুগণ, এই উত্তর পাইব বলিয়া পাটলিপুত্রে আসিমুছিলাম । এখনও মহারাজপুত্র গোবিন্দ গুপ্ত জীবিত, মহামন্ত্রী দামোদর শম্মী জীবিত, হস্তহীন বন্ধুবন্ম জীবিত, অচিরে গরুড়ধ্বজ বক্ষুতীরবর্তী পৰ্ব্বতশষে দৃষ্ট হুইবে—” সহসা জনসজেঘর মধ্যে একজন বলিয়া উঠিল, “যাহাদের দেশ, তাহারা কেন আত্মরক্ষা করুক না ? তাহারা যদি আত্মরক্ষা করিতে না পারে, তবে মগধবাসী কেন তাহদের জষ্ঠ মরিতে যাইবে ?” বিঘ্নিত হইয়া স্বনগুপ্ত বক্তার দিকে চাহিলেন, কিন্তু তাহাকে দেখিতে পাইলেন না । সম্রাট দীর্ঘ নিশ্বাস ত্যাগ করিয়া কহিলেন, “বন্ধু, ইঙ্গ মগধবাসীর উপযুক্ত কথা নহে । যাহারা আত্মরক্ষায় অপারগ, মগধবাসী তাহাদিগকে রক্ষণ করে বলিয়া আজি মগধ আৰ্য্যাবর্ভের শীর্ষস্থানীয়। যে আর্য্যাবত্তের তোরণ রক্ষা করে, চিরন্তন প্রথা অনুসারে ভারতের সাম্রাজ্যপদবী তাহারই ।” জনতার মধ্য হইতে সেই ব্যক্তি পুনরায় বলিয়া উঠিল, “সাম্রাজ্য পদবী লইয়া কি হইবে বৃথা যুদ্ধে শত শত মাগধ সেনার প্রাণনাশ করিয়া কি হইবে ? শক্র যখন মগধে আসিবে, আমরা তখন যুদ্ধ করিব।” ব্যথিতচিত্তে সম্রাট কহিলেন, “বন্ধু, বোধ হয় তুমি মগধবাসী নহ। আজি সমস্ত আর্যাবৰ্ত্ত মগধের মুখ চাহিয়া আছে। শত শত নরনারীর