পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ーペ 。 করুণ। দওধর মন্ত্রগুহের দিকে চলিয়া গেল এবং কিয়ৎক্ষণ পরে আর একজন দণ্ডধরকে লইয়া ফিরিয়া আসিল । সে ব্যক্তি বৌদ্ধ, সুতরাং সঙ্ঘস্থবিরকে দেখিবামাত্র চিনিতে পারিল এবং প্রণাম করিল। সে কঠিল, “হঁ। ইনিই কণিষ্ক-বিচারের সঙ্ঘস্থবির।” প্রথম দণ্ডধর তখন সত্তঘস্থবিরকে লইর মন্ত্রগুহের দিকে চলিল, বিষ্ণুভদ্র তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিলেন । সঙ্ঘস্থবির যখন মন্ত্রগুতে উপস্থিত হইলেন, তখন পুরুসপুর বিষয়ের বিষয়পতি সহোর শেষ সীমায় উপনীত হইয়াছেন। সহসা বৃদ্ধ সজস্থবিরকে দেখিয়া বিষয়পতির মুখ হাস্তোজ্জল হইয়া উঠিল। তিনি কহিলেন, “প্রভু, এতক্ষণ কোথায় ছিলেন ? আমি প্রায় অদ্বদণ্ডকাল এই মন্ত্ৰগৃতের কঠিন সোপানে দাড়াইয়া আছি।” সজঘস্তবির ঈধং হাসিয়া কহিলেন, “অপরাধ মাৰ্জ্জনা করিবেন, আমি নিকটেই ছিলাম, আপনার অনুমতি পাই নাই বলিয়া নিকটে আসিতে পারি নাই । যাহার আমার অনুসন্ধান করিতেছিল, তাহার কেহই আমাকে চিনে না ।” বিষয়পতি বিরক্ত হইলেন, তাহার দন্তে দন্ত স্পৃষ্ট হইল, কিন্তু তিনি প্রকাশে কছিলেন, “প্রভু, ভূত্যবর্গের সৌজন্যের অভাবের জন্য আমাকে মার্জন করিবেন, মন্ত্রগুহের অভ্যন্তরে আসুন ।” সকলে মন্ত্রগুহের মধ্যে প্রবেশ করিলেন । বিযয়পতি আসন গ্রহণ করিলে সকলে উপবেশন করিলেন। তিনি বিষ্ণুভদ্রকে দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “ইনি কে ?” "ইহার নাম বিষ্ণুভদ্র, বাহুলীক নিবাসী ব্রাহ্মণ, সম্প্রতি জালন্ধরে যাইবেন । ইহার জন্তই আপনার সমীপে উপস্থিত হইয়াছি।” আগন্তুক ব্রাহ্মণ শুনিয়া বিষয়ুপতি আসন ত্যাগ করিয়া তাহার পদধূলি গ্রহণ করিলেন। সঙ্ঘস্থবির ঈষৎ হাস্ত করিলেন, তাহাতে বিষ্ণুভদ্র লজ্জিত হইলেন । বিষয়ুপতি পুনরায় আসন গ্রহণ করিয়া কছিলেন, “ইহার জন্ত আমার নিকটে আসিয়াছেন ?” “ছ, ইনি গুরুতর সংবাদ লইয়া বালীক নগব হইতে জালন্ধরে মহারাজ