পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম পরিচ্ছেদ 8 তোরণ অতিক্রম করা আবশ্যক হুইত ঋষভশন্ম। তৃতীয় তোরণের বঙ্গিদেশে দাড়াইয়৷ ক্ৰন্দন করিবার উপক্রম করিতেছেন," এমন সময়ে দতায় তোরণ-রক্ষী প্রতাঙ্গরগণ তাহাকে ধরিয়া লইয়া গিয়া উক্ত ভোরণের সীমার বাহির করিয়া দিল। এই সময়ে সহসা চতুৰ্দ্দিক শত শত উল্কার আলোকে উজ্জল হইয়া উঠিল, সঙ্কস কে পশ্চাৎ হইতে ব্রাহ্মণের গ্রীধা ধারণ করিয়া তাহাকে দূরে নিক্ষেপ করিল। ঋষভ গুরুতর আঘাত পাইয়৷ চীৎকার কড়ি৷ কাদিয়া উঠিলেন, তৎক্ষণাৎ আর এক ব্যক্তি আসিয়া তাহার সুখে হস্তপণ করিয়া শব্দরোধ কৰ্ম্মল ; " এই সময়ে শত শত অশ্বারোষ্ট্ৰী পরিবেষ্টিত হইয়া একখানি শুভ্র চতুরখবাহিত রথ প্রথম তোরণে প্রবেশ করিয়া, দ্বিতীয় তোরণ পথে অন্তর্চিত হইল, আলোকমাল দুরে সরিয়া গেল। তখন সেই ব্যক্তি ব্রাহ্মণের মুখ হইতে তাত সরাইয়৷ লষ্টয়া জিজ্ঞাসা করিল, “তুই কে ?” ব্রাহ্মণ অতি দীনভাবে কহিল, "আঁমি ঋষভদেবশায়।” পুনরায় জিজ্ঞাসা করিল, “তোর নিবাস কোথায় ?” “গোঁড়নগরে।” “এখানে আসিয়াছিস্ কেন ?” “রাজধানীতে উত্তম ফলাহার মিলিবে বলিয়া ঠাকুরাণীর সহিত আসিয়াছিলাম।” "ঠাকুরাণী কে ?” “মহাবলাধিকৃত ভালুমিত্রের পত্নী করুণাদেবী ।” “ভানুমিত্র বা করুণাদেবীকে আমরা চিনি না । তুই নিশ্চয় চুরি করিতে আসিয়াছিস ।” ব্রাহ্মণ এতক্ষণে বুঝিতে পারিল যে, সে চেীরোদ্ধরণিকের কবলে পড়িয়াছে, তখন সে কাদিতে কাদিতে বলিয়া উঠিল, “বাপু হে, . আমি দরিদ্র ব্রাহ্মণ, ঠাকুরাণী চলিয়া আসিলে গেড়ে কেহু উদর পূরিয়া থাইতে পায় না বলিয় তাহার সঙ্গিত আসিয়াছি। আমার সাতপুরুষে কেহ কখনও চুরি করে নাই ; আমি চোর নহি, তুমি আমাকে দয়া করিয়া ছাড়িয়া দাও ঋষভশৰ্ম্ম এমন কাজ আর কখনও করিবে না ।” চোরোদ্ধরণিক তাহার কাতরোক্তিতে কর্ণপাত না করিয়া তাহাকে প্রহার করিতে করিতে প্রথমু তোরণের বাহিরে লইয়া আসিল । সে স্থানে