পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম পরিচ্ছেদ মক্স-পুহ নিশীথ রাত্রি। বিশাল গুপ্ত-সাম্রাজ্যের বিশাল রাজধানীতে মধ্যরাত্রির আরত্রিকের শঙ্খ-ঘণ্টানিনাদ থামিয়া গিয়াছে। গঙ্গাতীরে শুভ্ৰ-মৰ্ম্মরনিৰ্ম্মিত অসংখ্য শুভ্র স্তম্ভাবলীশোভিত সাম্রাজ্যের মন্ত্ৰগৃহে জনৈক শুভ্ৰবসনপরিহিত বিরলকেশ দীর্ঘাকৃতি কৃষ্ণবর্ণ ব্রাহ্মণ দাড়াইয়া আছেন । মন্ত্র গৃহে সুবৰ্ণশুঙ্খলে লম্বিত রজতময় আধারে শত শত গন্ধদীপ জ্বলিতেছিল, স্তম্ভের অন্তরালে জ্যোংমোজ্জল ভাগীরথীর জলরাশি রজতধারার দ্যায় প্রতীয়মান হুইতেছিল। অদূরে গঙ্গাদ্ধারে তোরণশীর্ষে জনৈক প্রতীহারের বৰ্ম্মে চন্দ্রকিরণ প্রতিফলিত হইতেছিল । বৃদ্ধ মন্ত্ৰগৃহে কাহার জন্য অপেক্ষা করিতেছিলেন। এক মূক পরিচারক রজতনিৰ্ম্মিত ব্যজনী লইয়া আসিলে বুদ্ধ তাহাকে ইঙ্গিতে চলিয়া যাইতে আদেশ করিলেন। অদ্ধদও পরে অন্তঃপুরের তোরণ-পথে উজ্জ্বল আলোক দৃষ্ট হইল, শত উল্কাধারী তোরণ হইতে নির্গত হইল। বৃদ্ধ উল্কাধারী, মহল্লিকা ও প্রতীঙ্গর বেষ্টত হইয়া দুইজন দীর্ঘাকার পুরুষ ধীর পাদক্ষেপে মন্ত্ৰগৃহাভিমুখে আসিতেছেন দেখিয়া ঈষৎ হাসিলেন। কিয়ৎক্ষণ পরে সম্রাটু প্রথম কুমারগুপ্ত ও মহারাজপুত্র গোবিন্দগুপ্ত মন্ত্ৰগৃহে প্রবেশ করিলেন। পরিচারকগণ দুইখানি রজত-নিৰ্ম্মিত সিংহাসন ও একখানি কুশাসন স্থাপন করিল, কিন্তু সম্রাটু আসন গ্রহণ করিলেন না, অবনত মস্তকে বৃদ্ধের সম্মুখে দাড়াইয়া রহিলেন। গোবিন্দগুপ্ত জনৈক মূক পরিচারককে ইঙ্গিত করিলেন। তৎক্ষণাৎ উল্কাধারী ও প্রতীহারগণ মন্ত্র