পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায় । సి? এই সময়ে শ্ৰীমন্ত চৌধুরী, চাদরায়ের সহিত খিজিরপুরে অবস্থান করিতেছিল। দুষ্টবুদ্ধি স্ত্রীমন্তের—মনের ভাব চিরদিনই একরূপ। “বর্তমান যুদ্ধে—রাজা কেদার-রায় ইশাখার নিকট পরাজিত হউন, রায়-রাজ্য বিক্রমপুর উৎসন্ন যাউক—” সে মনে মনে এইরূপ ভাব পোষণ করিলেও মুগে বন্ধুত্বের ভাণ করিয়া চলিত। কুটিলমতি শ্ৰীমন্ত, মনোভাব গোপনে এত চতুর ও মুকৌশলী ছিল, যে চাদরায় তাহাকে একজন অন্তরঙ্গ হিতৈষী মিত্র, বলিয়; বিবেচনা করিতেন । কেদাররায় যখন খিজিরপুর লুণ্ঠনে ব্যস্ত, সেই সময়ে অতি গোপনে এই প্রভু-দ্রোহী শ্ৰীমন্ত, ইশার্থীর সহিত সাক্ষাৎ করে । থী-সাহেব তাঙ্গার মনোভাব অবগত হইয়া, এই বিশ্বাসঘাতককে মহাসমাদরে গ্রহণ করিলেন । তিনি মনে মনে ভাবিলেন, খোদা ইচ্ছা করিয়াই, এই শ্ৰীমন্তকে —তাহার নিকট প্রেরণ করিয়াছেন । - উভয়ের মধ্যে একটা গুপ্ত বন্দোবস্ত হইল। সেই বন্দোবস্তের জন্য মথবা পূৰ্ব্বকার অপমানের প্রতিশোধ লইবার জন্যই হউক, শ্ৰীমন্ত ইশাখণর নিকট প্রতিজ্ঞ করিল—যে কোন উপায়েই সে, চাঁদ-রায় কন্যা, পরমা সুন্দরী সোণামণিকে ইশাখার অঙ্কশায়িনী করিবে। বলা বাহুল্য, প্রচুর পুরস্কার ও জমীদারী-লাভের লোভেই, শ্ৰীমন্ত এই কুৎসিত কার্য্যে প্রবৃত্ত হইল । চাদরায় ও কেদল্পরায় উভয় ভ্রাতাই, যখন ইশাখণর সহিত যুদ্ধব্যাপারে ব্যস্ত, শ্ৰীমন্ত-সেই সময়ে শ্রীপুরে ফিরিয়া আসিয়া প্রচার করিল,—“রাজ ভ্রাতাদ্বয়, ইশাখ" কর্তৃক বন্দী হুইয়াছেন। ইশাখা-অচিরাৎ শ্ৰীপুর আক্রমণ করিয়া-সোণামুণিকে লুঠ করিয়া লইয়া যাইবে।” এই সংবাদ প্রচারিত কইবামাত্রই, রাজপুরীতে হাহাকার শব্দ উঠিল। কিরূপে শ্রীপুর রাজধানী ও বিধবা রাজকন্যা সোণামণিকে রক্ষণ করা যাইতে পারে, তৎসম্বন্ধে পরামর্শ চলিল। শ্ৰীমন্ত অবসর বুঝিয়া, রাজ-পরিবারবর্গকে পলায়নের উপদেশ দিল। কিন্তু প্রধান-মন্ত্রী, বৈদ্যবংশীয় রঘুনন্দন চৌধুরী, শ্ৰীমস্তের এ পরামর্শ সমীচীন বলিয়া বিবেচনা করিলেন না । তিনি প্রবল উৎসাহের সহিত যুদ্ধের আয়োজন করিতে লাগিলেন। এদিকে রাণী, রাজ্যরক্ষার জন্য তটা ব্যস্ত না হউন—কনাকে রক্ষার জন্য বড়ই উতলা হইয়া পড়িলেন । ঐমস্তুের পরামর্শই তাহার পক্ষে সমীচিন বলিয়৷ ৰোধ হইল। . চন্দ্রদ্বীপে-সোণামণির শ্বশুরালয় । গুপ্ত পরামর্শে স্থির ছইল