পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>のbr কলিকাতা সেকালের ও একালের । কেবল বাণিজ্য উদেশে আগমন করেন, তখন তাহারা জানিতেন না2 যে ভাগ্য-লক্ষ্মী প্রসন্না হইয়া—এই সমগ্র ভারতরাজ্য, তাছাদের হয়ে সমর্পণ করিবেন। সামান্ত একটু আশ্রয়-স্থান, একটী ক্ষুদ্র বাণিজ্য কুঠী স্থাপনের জন্য মোগল-বাদসাহের কৰ্ম্মচারীদের নিকট, তাহাদিগকে বহু লাঞ্ছনা সল করিতে হইয়াছিল। কতবার তাহারা অধিকার-চু্যত হইয়া—একস্থান হইতে অন্যস্থানে বিতাড়িত হইয়াছিলেন। মোগল-বাদসাহের অধীনস্থ প্রাদেশিক কৰ্ম্মচারীরা—এই ইষ্ট-ইণ্ডিয়া কোম্পানীর-কৰ্ম্মচারীগণকে কতই না নিগৃহীত করিয়াছিলেন । কিন্তু এই ইংরাজ-জাতি, উদা, অধ্যবসায় ও কষ্ট-সহিষ্ণুতা বলে, সকল বাধা বিস্তু অতিক্রম করিয়া, শেয় এই ভারতবর্ষের সাৰ্ব্বভৌমিক সম্রাট পদ লাভ করিয়াছেন । কি করিয়া এই কোম্পানীর প্রাণ-প্রতিষ্ঠা হইল, এখন তাহারই আলোচনা করা যাউকৃ। ক্যাবট, ভাসকেডিগামী, আবুকার্ক প্রভৃতি পটুগীজগণ, এদেশের সহিত বাণিজ্য-ব্যবসায়ে লিপ্ত হইয়া—কিরূপ সাফল্য লাভ করেন, তাহ ইউরোপের সর্বত্রই উপকথার মত প্রচারিত হইতে লাগিল। ইংরাজঞ্জাতি এই সমস্ত অস্তুত কাহিনী শুনিয়া, ভারতের সহিত বাণিজ্য-সংস্রবে আসিতে বড়ই উৎসুক হইলেন । ইংলণ্ডেশ্বর অষ্টম হেনূর ও নী এডওয়ার্ডের আমলেই, ভারতে আসিবার নূতন পথ আবিষ্কারের চেষ্টা আরম্ভ হইল। ইংলণ্ডের বড় বড় আমীরগণ, তাহীদের বিষয়-সম্পত্তি বেচিয়া বা বন্ধক দিয়া, লক্ষ লক্ষ টাকা মুলধন তুলিয়া ফেলিলেন। এই নবগঠিত ইংরাজ কোম্পানী প্রায় অৰ্দ্ধ শতাব্দীকাল ধরিয়া, ভারতে আসিবার নুতন পথ আবিষ্কারের জন্ত, অজস্র অর্থব্যয় করিলেন । সকল কথা বলিতে গেলে, আমাদের স্থানে কুলাইবে না। তবে পাঠক জানিয়া রাখুন, ১৫৬৭ খ্ৰীষ্টাব্দে স্যার ফ্রান্সিস ড্রেক নামক একজন দুৰ্দ্দমনীয় উৎসাহী ইংরাজ, প্লাইমাউথ বন্দর হইতে যাত্রা করিয়া প্রশান্ত মহাসাগর দিয়া ঘুরির আসিয়া, জাভাদ্বীপে উপস্থিত হয়েন। ড়েকের এই সাফলা দেখিয়া, ইংরাজজাতি অতিশয় উৎফুল্ল হইলেন বটে, কিন্তু এই পথ-নিতান্ত সুগম বলিয়া বোধ না হওয়ায় পরিশেষে ইহা পরিত্যক্ত হয় । এই ঘটনার, কুড়িবৎসর পরে, ১৫৮৬ খৃঃ অব্দের জুলাই মাসে, টমাস ক্যাভেণ্ডিস্ নামক আর একজন সুদক্ষ নৌ-সেনাপতি তিনখানি জাহাজ লইয়া আটলাণ্টিক মহাসাগরের পথ অবলম্বন করেন। তিনি আমেরিকার