পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/২৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম অধ্যায়। ২৩১ রিশোধের নির্দিষ্ট তারিখের পূর্বে, মায় মুদ টাকা আদায় করা হইত। এ দেশীয় জন সাধারণ যখন দেথিল, ইংরাজগণ দেনাপাওনার ব্যাপারে দুই উদার, তাহারা ন্যায্য মূল্যে জিনিষপত্র ক্রয় করে, লোকের পাওনা বাকী থে না,তাহীদের নিজের ছাড় ও নিশান দিয়া মোগল কৰ্ম্মচারিদের অত্যাচার টুতে প্রজাদের রক্ষা করে, প্রয়োজন হইলে তাহীদের আশ্রিত ব্যক্তিগণের ং মোগলের নিকট দরবার করিতেও কুষ্ঠিত হয় না, তখন তাহারা স্বভাএই ইংরাজদের মহৎ গুণাবলীর দিকে আকৃষ্ট হইল। পূর্বে আমরা দেখাইড়ি, বঙ্গদেশের ফ্যাক্টরী সমূহে, দেড়লক্ষ পাউণ্ড মূলধন ন্যস্ত হইয়াছিল। রাজের বঙ্গীয় বাণিজ্যের এই অসম্ভব শ্ৰীবৃদ্ধি, যে বাঙ্গালী ব্যবসায়ীদের হানুভূতিতেই হইয়াছিল, তাহার আর কোন সন্দেহ নাই। ইংরাজ কোম্পানীর মন্দ্রিাজের কুঠার অধ্যক্ষ বা প্রেসিডেন্টই, সেকালের }রতীয় ইংরাজদের ভাগ্য-নিয়ন্ত বা ফ্যাক্টারির সর্বপ্রধান কৰ্ম্মচারী ছিলেন । হাতে কৰ্ম্মচারিগণ সচ্চরিত্র ও মুনীতি পরায়ণ হন, তৎসম্বন্ধে চেষ্টার কোন rটিই তাতার করেন নাই। এই জন্তই ষ্ট্রেনসাম মাষ্টারের মত দৃঢ় চরিত্রের লাক, দুই দুই বার বাঙ্গলায় অসিয়ছিলেন । তখন পাদরী ছিল না, গিজর্ণ ছল না,উপাসনার নির্দ্ধারিত স্থান ছিল না । কিন্তু ক্রমে ক্রমে এ সম্বন্ধীয় সকল ন্দোবস্তই হইয়াছিল। ১৬৭৮ খৃঃ অব্দে জন ইভান্স নামক একজন পাদরী কাম্পানীর দ্বারা নিয়োজিত হইয়া বঙ্গদেশে আসেন। ইনিই বঙ্গের প্রথম পাদরী। বাঙ্গলার সহিত তুলনায়, সুরাটের ইংরাজদের নৈতিক অবস্থা অনেকটা উন্নত ছিল। এইজন্য ১৬৭৯ খৃঃ অব্দে মান্দ্রাজের গভর্ণর বঙ্গদেশে আসিয়া, পাদরীদিগের সহিত পরামর্শমতে, কতকগুলি নীতিগর্ত নিয়ম প্রচলন করেন। এই নিয়মগুলি দেখিলেই পাঠক বুঝিবেন, কোম্পানী বাহরের কর্তৃপক্ষীয়ের, তাহদের বঙ্গদেশস্থ সহযোগীগণের নৈতিক উন্নতি সাধfর্থ যথেষ্ট চেষ্টা করিয়া গিয়াছেন। প্রায় তিনশত বৎসর পূর্বের এ নৈতিক নয়মগুলি অতি কৌতুহলজনক। পাঠকের কৌতুহল নিবৃত্তির জন্য, আমরা স্থলে সেগুলি আহুপুৰ্ব্বিক উদ্ধৃত করিলাম। এইকটী বিধিপত্রে লিখিত ছিল— ( ১ ) যাহাতে ঈশ্বরের নাম গৌরবান্বিত হয়, যাহাতে সকল কৰ্ম্মে উইার মঙ্গলাশীৰ্ব্বাদ বর্ষিত হয়, এই উদ্দেশ্যে, কোম্পানীর কর্মচারিগণ জনাগারে নিত্য প্রার্থনা করিবেন। - 哆 (২) মিথ্যা বল, শপথ করা, অভিশাপ প্রদান, মাতলামি প্রভৃতি