পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৪৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৫২ কলিকাতা সেকালের ও একালের । পক্ষের সর্বনাশ করিতে লাগিলেন। আবার শেষ নিকাশে, অনেক টাকা বাকী পড়িল । কলিকাতা কৌন্সিলের বড় কর্তা, তাহার কৈফিয়ৎ চাহিলেন। বেগতিক দেখিয়া নন্দরাম হুগলীতে পলায়ন করিয়৷ গা-ঢাকা দিলেন। কিন্তু ইংরাজেরা, হুগলীর ফৌজদারকে লিথিয়া পড়িয়া, কলিকাতা হইতে সেপাহী পাঠাইয়া, নন্দরামকে ধরিয়া আনিলেন ও কারণনিক্ষিপ্ত করিলেন । ইহার পর আর কোন বাঙ্গালী “ব্ল্যাক-কলেক্টরের” নামোল্লেখ দেখা ষায় না। তারপর ইতিহাস প্রসিদ্ধ হলওয়েলের আমলে গোবিন্দরাম মিত্রের নাম দেখিতে পাওয়া যায় । সেকালের কলিকাতায় তিনটী প্রবাদ বাক্য প্রচলিত ছিল, তাহা এই— গোবিন্দরামের ছড়ি । বনমালী সরকারের বাড়ী । উমিচাদের দাড়ী । গোবিন্দরামের “ছড়ী” বা লাঠীর-জোর খুব ছিল। ইতিহাস-প্রসিদ্ধ উমিচাদ তাহার লম্বা দাড়ার জন্য বিখ্যাত ছিলেন । কুমারটুলির বনমালী সরকারের বাড়ীর মত, অতবড় প্রাসাদতুল্য বাড়ী সেকালের কলিকাতায় অার কাহারও ছিল না। এখনও কুমারটুলীতে সরকার মহাশয়ের এ বাড়ী বর্তমান । - প্রসিদ্ধ ইতিবৃত্ত-লেখক উইলসন সাহেব বলেন—“সেকালের ব্ল্যাক-ডেপুটীরা যেরূপ অসদুপায়ে অর্থোপার্জনের চেষ্টা করিতেন—তাঙ্গাতে তাহদের বিশেষ দোষ দেওয়া যায় না। র্তাহীদের বেতন বড়ই অল্প ছিল । জমি-বিলি ও তৎসম্বন্ধীয় কাজ কৰ্ম্ম করিবার সময়, খাজনা ও সেলামী এবং বেনামী জমি-ৰিলি দ্বারা অনেক টাকা তাহদের হাত দিয়া চলাফেরা করিত। কাজেই অল্প বেতনভোগী কৰ্ম্মচারীর পক্ষে এরূপ সুবিধাকরস্তলে লোভ সম্বরণ করা বা বেনামী বাণিজ্য প্রভৃতিতে লিপ্ত না হওয়া, নানাকারণে অসম্ভব ।” সমস্ত ব্ল্যাক-জমীদারদের মধ্যে, পরবর্তীকালে গোবিন্দরাম মিত্রের ক্ষমতাই সৰ্ব্বাপেক্ষ বেশী হইয়াছিল । তিনি যথেষ্ট ধনরত্নাদি সঞ্চয় করেন। এখনও চিৎপুর রোডে কুমারটুলী পল্লীতে র্তাহার প্রতিষ্ঠিত নবরত্ন বর্তমান। এই নবরত্বের চূড়া না কি অক্টলোনী মকুমেণ্ট, অপেক্ষী উচ্চ ছিল । কলিকাতার ভূতপূৰ্ব্ব কালেক্টর ষ্টারেণ্ডেল সাহেব ধ ন—তাহার উচ্চতা ১৬৫ ফিটের উপর। ১৭৩৭ খৃঃ অশ্বের মহা ঝড়ে 凝 চুড়াটা ভাঙ্গিয়া