পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৬২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উনবিংশ অধ্যায়। (brNo করিয়া অন্ত কোন চাকর সঙ্গে আনিবেন না। তবে "হকা-বরদার” সঙ্গে আনিলে কোন আপত্তি নাই।” কিন্তু ১৭৮৪ খৃষ্টাব্দের এক নিমন্ত্রণ-পত্রের প্রতিলিপি হইতে জ্ঞাত হওয়া যায়, এ সময়ে সাহেবী-সমাজে হুকার প্রচলন একেবারে বন্ধ ন হইলেও—উপরের তলায় বা ভোজক্ষেত্রে"হকা-বরদারের” প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ ছিল। ১৮৪০ খ্ৰীষ্টাব্দের পর সাহেবী-সমাজে হুকায় তামাকু সেবনের ব্যবস্থার কথা আর শোনা যায় না। ১৭৫৯ খ্ৰীঃ অব হইতে ১৭৮৭ খ্ৰীঃ অব্দের মধ্যে, চাকরদের , বেতন তিনগুণ বাড়িয়া উঠে । বিচার ও হলওয়েল প্রভৃতি, চাকর-বকিরদের যে তলবান স্থির করিয়া দিয়াছিলেন, তাহাতে পরবর্তীকালে আর চাকর পাওয়া বাইত না । পুরাতন কাগজ-পত্র হইতে জানা যায়—পরবর্তীকালে থানসামার বেতন মাসিক পচিশ টাকা, পাচক ও কোচম্যানের মাসিক কুড়ি টীকা ও খিদমতগার ও বেহারীদের মাসিক দশ টাকা বৃদ্ধি হইয়াছিল। এ বেতন না দিলে তখনকার সাহেবের চাকর-বাকর পাইতেন না। কিন্তু চাকর রাখিবার খরচ-বৃদ্ধির সঙ্গে, চাকরের সংখ্যা কমাইবার জন্য যে কোনরূপ চেষ্টা হইত, তাহারও প্রমাণ নাই। পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী তালিকায় আমরা যে কয়েক শ্রেণীর চাকরের কথা উল্লেখ করিয়াছি—তাহারাই এইরূপ বৃদ্ধির হারে নিযুক্ত হইত। ম্যাক্রেবী সাহেব, তখন কলিকাতায় জেলের বড়কৰ্ত্ত ছিলেন । এই ম্যাক্রেবী, হেষ্টিংসের কৌন্সিলের সদস্য, সার ফিলিপ ফ্রান্সিসের সেক্রেটারী ও নিকট সম্বন্ধীয় আত্মীয় । এই ম্যাক্রেবীর কর্তৃত্বাধীনেই মহারাজ নন্দকুমার, জেলের মধ্যে ছিলেন। ম্যাক্রেী সাহেব এই সময়ে কলিকাতার সাহেব-স্ববোদিগের এইরূপ বড় মানুষী দেখিয়া লিখিয়া গিয়াছেন—“চণকরের বেতন চারিগুণ বাড়িয়াছে – তাহা বলিয়া কেহ যেন মনে না করেন— ইহার সঙ্গে চাকরের সংখ্যা কমান হইয়াছে। আমি জানি, কোন ইংরাজ-পরিবারে কেবলমাত্র চারিজন লোকের জন্য, এক শত দশ জন চাকর নিযুক্ত আছে। হায় ! এ সত্ত্বেও লোকে আমাদের মিতব্যয়ী বলিয়া থাকে !” মোটের উপর কথা হইতেছে, সেকালের ইংরাজেরা এইরূপভাবে চাকরবাকর না রাখিয়া চলিতে পারিতেন না। এই সমস্ত বেতনভোগী ভৃত্য ছাড়া, অনেক সাহেব-মুবো আবার ক্রীতদাস রাখিতেন। সেকালের সাধারণ সংবাদপত্রে, এইরূপ ক্রীতদাস ক্রয়-বিক্রয়ের অনেক মজাদার বিজ্ঞাপন আছে। ক্রীতদাসদের মধ্যে অনেকেই কাফ রি। যে সকল ক্রীতদাস—খানসামা