পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৬৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Web” কলিকাতা সেকালের ও একালের ওয়াটস্ সাহেব, কাশিমবাজার কুঠার অধ্যক্ষ ছিলেন । বহুদিন হইতেই তিনি বঙ্গের নানা স্থানে কোম্পানীর কুঠী সমূহের অধিনায়কতা করিয়াছিলেন। নবাব, কাশিমবাজারের কুঠী লুণ্ঠন করিয়া এই ওয়াটুসনসাহেবকেই বন্দী করেন। পলাশীযজ্ঞে ইনি একজন প্রধান হোতা । গোবিন্দপুরে নূতন দুর্গনিৰ্ম্মাণ জন্য জর্মগ্রহণ। “যে সকল বাঙ্গালী ও এদেশীয় লোক গোবিন্দপুর গ্রামে বাস করিত, মৃতন ফোর্ট-উইলিয়াম দুর্গ নিৰ্ম্মাণের জন্য, আমরা তাহাদিগকে স্থানান্তরে উঠিয়া যাইতে আদেশ দিয়াছি। যাহাঁদের পাকা বাড়ী আছে—তাহীদের বাটা সমূহের দরদপ্তর ঠিক ন্যায্যভাবেই হইয়াছে। তাহারা মূল্যের জন্য প্রার্থনা করিলেই—তখনিই মূল্য দেওয়া হইবে । যাহাঁদের চালা ঘর অাছে—তাহাদিগকে স্থানাস্তরে চালা উঠাইয়া লইয়া যাইবার জন্য খরচ দেওয়া হইবে । ষাক্তাদের খরিদা জমী ছিল, তাহাদিগকে সহরের অন্ত স্থানে তাহীদের ইচ্ছামত এওয়াজি-জমী দেওয়া হইয়াছে । যে সকল লোকের চালাঘর উঠাইয়া লইয়া যাইবার খরচ বেশী ও এতজ্জনা বিশেষ অসুবিধা ও কষ্ট হইবার সম্ভাবনা, তাহাদিগকে নিকটবৰ্ত্তী স্থানে জর্মী দেওয়া হইল।” * পলাশী-যুদ্ধের পর, গড়েরমাঠের বর্তমান কেল্লা নিৰ্ম্মাণের জন্য, গোবিনপুরে প্রজার বাস উঠাইয়া দেওয়া হয়। সৰ্ব্বপ্রথমে গঙ্গার ধারে পুরাতন ভক ইয়ার্ডের অধিকৃত স্থানে এই নূতন দুর্গ নিৰ্ম্মাণের কল্পনা হয়। যেখানে আজকাল বেঙ্গল-ব্যাঙ্ক অবস্থিত, সেইখানেই এই ডকইয়ার্ড ছিল। কিন্তু ইহার চারিদিকে দূরে অদূরে বাড়ীঘর থাকায়, এ সংকল্প পরিত্যক্ত হয়। সেরাজের কলিকাত আক্রমণের সময়, ইংরাজপক্ষ যে কোনরূপ সুবিধাকর আত্মরক্ষার বন্দোবস্ত করিতে পারেন নাই, তাহার প্রধান কারণ—ফুর্গের চারিদিকে অনেক বড় বড় পাকা বাড়ী ছিল। ঠেকিয়া শিথিয়া, ইংরাজ-কোম্পানী গোবিন্দপুরের উন্মুক্ত স্থানে কেল্লার, স্থান নির্ণয় করেন। তখন গোবিন্দপুরের একদিকে জাহ্নবী ও চারিপাশ্বে ব্যাঘ্র শ্বাপদাদি পূর্ণ বনজঙ্গল। ভবিষ্যতে দুর্গ নিৰ্ম্মাণ সূচনার সঙ্গে সঙ্গে চারিপাশের বনজঙ্গল কাটাইয়া দুর্গের চতুঃপাখস্থ স্থান সম্পূর্ণরূপে ফণক ময়দান করা হইয়া ছিল। এইরূপ কল্পনা করিয়াই, বৰ্ত্তমান গড়ের --w-سم-۔

  • Letter to Court-dated roth January 1758, Para 11o.