পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৬৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

θ0 ο কলিকাতা সেকালের ও একালের । হইয়াছিল। ওয়ারেণ হেষ্টিংসও তাহার পরবর্তী কালে, আমরা সেকালের কলিকাতার মধ্যে "বেঙ্গল” ও “জেনারেল” নামক দুইটী ব্যাঙ্কের নাম দেখিতে পাই। বেঙ্গল-ব্যাঙ্ক দুইজন স্বাধীন ব্যবসায়ীর সম্পত্তি। তাহাদের নাম জ্যাকব রাইডার ও এডওয়ার্ড হে। ইহঁদের নামেই ব্যাভের নোট প্রভৃতি চলিত। এই বেঙ্গল-ব্যাঙ্কের একটী বিজ্ঞাপন হইতে দেখিতে পাওয়া যায়, উক্ত রাইডার ও হে সাহেব সাধারণে প্রচার করিতেছেন— “অতঃপর এই বেঙ্গল ব্যাঙ্ক, নোট-প্রচারের দায়িত্ব গ্রহণ করিলেন। স্বত্বাধিকারীদের স্বাক্ষরযুক্ত পাচশত টাকা, একশ টাকা, পঞ্চাশ টাকা ও এক মোহরের নোট সাধারণে প্রচলিত হইল ।” “জেনারেল-ব্যাঙ্ক” ইহার পরে স্থাপিত হয় । বেঙ্গল-ব্যাঙ্ক যেমন ছুইজন ব্যক্তির সম্পত্তি, জেনারেল-ব্যাঙ্ক সেরূপ ছিল না । ইহা সাধারণের নিকট হইতে সেয়ার লইয়া প্রতিষ্ঠিত । ( ১৮৮৷১৭৮৫ ) ভয়ানক চুরি। রামকান্ত মুলী নামক কলিকাতার জনৈক ধনী অধিবাসীর, বনমালী বলিয়া একজন ভৃত্য ছিল । কোন দোষের জন্য রামকাস্ত, বনমালীকে কৰ্ম্মে জবাব দেয়। বনমালী জানিত, তাহার প্রভুর গুপ্ত সম্পত্তি কোথায় থাকে। সে কলিকাতা সহরের বদমায়েসের আড্ডায় ঢুকিয়, তাহার উদ্দেশ্য সিদ্ধির সহায়তার জন্ত, উপযুক্ত লোক খুজিতে থাকে। মুন্সীবাবুর বাট প্রহরী: রক্ষিত, কাজেই কেহ সহজে স্বীকৃত হইতে চাহিল না। সেই সময়ে স্ত্রীরামপুরে গোবিন্দরাম চক্রবর্তী বলিয়। একজন নামজাদ সি দেল-চোর ছিল। জাগে লোকটা কলিকাতাতেই থাকিত, কিন্তু ইংরাজ-পুলিশ তাহাকে কলিকাতা হইতে তাড়াইয়া দেওয়ায়, সে স্ত্রীরামপুরে দিনেমার সেটেলুমেণ্টে, জাপ্রয় লয়। বনমালী, অবশেষে এই গোবিন্দরামের নিকট গিয়া তাহার পূর্ব মনিবের সম্পত্তি চুরির প্রস্তাব করে। গোবিন্দরাম তাহার দুইজন সঙ্গীকে লইয়া গুপ্তভাবে কলিকাতায় আসে ও বনমালীর সহিত পরামর্শ মতে, চুরী সম্বন্ধে সমস্ত কথাবার্তা ঠিক করে। একদিন গোবিন্দরাম সকলকে লইয়া কালীঘাটে চলিয়া যায়। কালীঘাট হইতে ফিরিয়া আসিয়া, সন্ধ্যার পর সে তাছার সঙ্গীদের ও বনমালীকে লইয়। একটু রাত্রি হইলে মুন্সীর বাগানের প্রাচীরের কাছে উপনীত হয়। তৎপরে সে মন্ত্রতন্ত্র দ্বারা কোন কিছু করিয়া, তাছার সঙ্গীদের বলে,-“জার কোন