পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৭৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭২৬ কলিকাতা সেকালের ও একালের । আছে বলিয়াই, আজও ইংরাজ-শাসনের ন্যায়পরতা ও গৌরব মুরক্ষিত হইয়া আসিতেছে। ইম্পি, বাঙ্গালার ইতিহাসের পৃষ্ঠে নাম রাখিয়া গিয়াছেন। ননকুমারের মোকদ্দমার জন্য, তিনি শিক্ষিত বাঙ্গালী সমাজের নিকট বিশেষভাবে পরিচিত। বাল্যকালে ছেলেরা ইতিহাসে পড়ে—“সুপ্রীমকোর্টের প্রধান জজ স্যর ইলাইজা ইম্পির বিচারে নন্দকুমারের ফঁাসি হয়।” আজকালকার ঐতিহাসিক গবেষণার দিনে নন্দকুমারের কথা সৰ্ব্বজন জানিত ঘটনা। অধুনাতনকালে ভূতপূৰ্ব্ব সিভিলিয়ান বেভারিজ সাহেব-স্যর জেম্স, ফিট্‌জেম্স ষ্টিফেন সাহেব, নন্দকুমারের নামে আনীত জাল ও চক্রান্ত মোকদমা, প্তাহীদের প্রধান বিচারক ইম্পির সম্বন্ধে অনেক কথাই বলিয়াছেন। সুপ্রীমকোটের প্রথম জজ স্যর ইলাইজ ইম্পির একটু পরিচয় প্রয়োজন। ১৭৩২ খৃঃ অবো তার ইংলণ্ডে জন্ম হয় । তখন কলিকাতা জঙ্গলময়। তাছার পিতা একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। পলাশী-যুদ্ধের পাচ বৎসর পূৰ্ব্বে ইম্পি, বিলাতের টিনিটি-কলেজে প্রবিষ্ট হন। পলাশী যুদ্ধের বৎসরে, তিনি বি, এ, পাশ করিয়া আইন পড়িতে আরম্ভ করেন। বিলাতে ওয়েষ্ট-মিনিষ্টারে থাকিবার সময়, ওয়ারেণ হেষ্টিংসের সহিত ইম্পিয় প্রথম পরিচয় হয়। কে জানিত—যে ভবিষ্যতে র্তাহীদের দুইজনকেই দুইটা বিভিন্ন প্রকার কার্যের, কঠোর দায়িত্বপূর্ণ ভার লইয়া কলিকাতাতেই থাকিতে হইবে । ইম্পি, হেষ্টিংসের অপেক্ষণ ছয় বৎসরের বড়। বাল্যকালের এই বন্ধুত্ব—বরাবরই অবিচলিত ছিল। কি ইংলণ্ডে—কি এদেশে। ১৭৭৯ খৃঃ অৰে, কলিকাতায় ইম্পি যখন ভয়ানক পীড়িত হন, তখন গবর্ণর হেষ্টিংস, ইম্পিকে তাহার আলিপুরের বাগানবাটীতে থাকিতে অনুরোধ করেন। সে অনুরোধ রক্ষিত হইয়াছিল কি না, তাহ শুনি নাই। ইংলণ্ডের সুপ্রসিদ্ধ কবি উইলিয়াম কাউপারও ইম্পির সহাধ্যায়ী। ইম্পি ও তাহার সহযোগী জজ তিনজন—১৭৭৪ খৃঃ অব্দের-অক্টোবর মাসে কলিকাতা চাদপালঘাটে অবতরণ করেন। ডিসেম্বরের পূর্ব পর্য্যন্ত-সুগ্ৰীক্ষ কোট বসে নাই। পালপমেন্টের যে আইন অনুসারে, গবর্ণর জেনারেল ও উহার কোন্সিল এবং সুপ্রীমকোট স্থাপিত হইয়াছিল, সে আইনের অনেক গলদ ছিল। প্রত্যক্ষ কাৰ্য্যক্ষেত্রে, এই সমস্ত গলদ বাহির হইয়া পড়িল। গবর্ণরের কৌন্সিল ও মুখ্ৰীমকোট উভয়ের মধ্যে কে বড়, এই ব্যাপার লইয়া ক্ষমতা প্রকাশ ব্যাপারে মহাবিপত্তি উপস্থিত হইল। উভয়পক্ষই