পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৮৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্ব্বিংশ অধ্যায়। به مه سرا বলেন—“আমার জন্য একজন "বাস" আনিয়া দাও।” তাহারা সাহেবের কথা বুঝিতে না পারিয়া, একজন ধোপাকে পাঠাইয়া দেয়। সেই ধোপার তখন অদৃষ্ট প্রসন্ন। সে ইংরেজীর কোন কিছু না জানিলেও সামান্য দুই দশটা কথা জানিত। এই বিদ্যার সহায়তার আর বুদ্ধির জোরে, সে কাপ্তেন &াফোর্ডের মনের ভাব বুঝিয় লয়। ইহা হইতেই তাহার অদৃষ্ট পরিবর্তন शा । ७ई “দুর্বাস” রতন সরকারকে, কাপ্তেন ষ্টাফোর্ড সাহেব, কোম্পানীর দ্বিভাষীরূপে নিযুক্ত করেন। কয়েক বৎসর ধরিয়া এই কাজ করিয়া রতন সরকার প্রচুর বিত্তশালী হইয়া উঠেন। আর এক রতন সরকার—পূৰ্ব্বকথিত ব্লক-জমীদার, কুমারটুলী নন্দরাম সেনের অধীনে চাকরী করিতেন। তাহার নামেও একটা গলি আছে। এই দুইজন রতন সরকার একই ব্যক্তি কি না, তাহা এই সুদূর বর্তমানে নিশ্চয় করিয়া বলা অতি অসম্ভব ব্যাপার। এই রতন সরকারের সম্বন্ধে, বর্তমান কিম্বদন্তীটি মহাত্মা রামকমল সেনের অভিধানের মুখবন্ধে আছে। রাজা গুরুদাসের ষ্ট্রীট। ইহা বর্তমান বিডনষ্ট্রীট পোষ্টফিসের সম্মুখ হইতে আরম্ভ হইয়া, সরাসর মানিকতলা ষ্ট্রীটে গিয়া মিশিয়াছে। মহারাজ নন্দকুমারের পুত্র, রাজা গুরুদাসের নামানুসারে, ঐ পথের নামকরণ হইয়াছিল। মহারাজ নন্দকুমারের আবাস-ভবন কোথায় ছিল, তৎসম্বন্ধে বিশেষ কোন প্রমাণ নাই। তবে অম্লমান-সঙ্গত মত এই—চড়কডাঙ্গা-পল্লীতে, অর্থাৎ বৰ্ত্তমান বিডনস্কোয়ার যে স্থানে নিৰ্ম্মিত, সেই জমীর উপর পুরাকালে এক বাটী ছিল, তাহাই মহারাজের আবাস স্থান। রাজা গুরুদাস, বাঙ্গালার পঞ্চম নবাব নাজিম মোবারক-উদ্দৌলার দেওয়ান ছিলেন। মুক্তারাম বাবুর ষ্ট্রীট। এই রাস্তাটা চোরবাগান পল্লীতে। এ পথের পরিচয় নিম্প্রয়োজন। বাঁশতলা ষ্ট্রীটের সম্মুখ হইতে আরম্ভ হইয়া, ইহা কর্ণওয়ালীস ট্রীটে গিয়া মিশিয়াছে। এই পথের ধারেই চোরবাগান মল্লিকগোষ্ঠীর প্রাসাদতুল্য আবাস-ভবন। স্বৰ্গীয় রাজা রাজেন্দ্র মল্লিকের প্রাসাদের দ্যায়, সুবৃহৎ অট্টালিক! কলিকাতায় আছে কি না সন্দেহ । “রাজেন্দ্র-মল্লিকের-চিড়িয়াখানা” মেটেবুক্লজের নবাবের চিড়িয়াখানার নিয়ে। নবাব ওয়াজিদ আলিশা, লক্ষেী হইতে নিৰ্ব্বাসিত হইয়া, মেটিয়াবুরুজে এক বহুদূর বিস্তৃত প্রাসাদ নিৰ্মাণ