পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৯৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চবিংশ অধ্যায়। , ৯২৭ শাসনকৰ্ত্ত লর্ড কারমাইকেলকে গবর্ণররূপে পাইয়াছি। লর্ড কজ্জনের আমলে, ফ্যামিন্‌-কমিশন ও ইউনিভারসিটা-কমিশন বসে । পুলিশের সর্ব বিভাগের সংস্কারের জন্য, পুলিশ-কমিশনও বসিয়াছিল। সমগ্র ভারতবর্ষের পুরাকালের স্মৃতিচিহ্নগুলি রক্ষা করিয়া, লর্ড কজ্জন তাছার নাম চিরস্মরণীয় করিয়া রাখিয়া গিয়াছেন। লর্ড কজ্জনের আমলে, ভারতেশ্বরী মহারাজী ভিক্টোরিয়া স্বৰ্গারোহণ করেন। ১৯০৩ খৃঃ অল্পের জাহুয়ারি তারিখে, তাহার জ্যেষ্ঠপুত্র, আমাদের সর্বজনপ্রিয় ভূতপূৰ্ব্ব সম্রাট সপ্তম এডওয়ার্ড, সিংহাসনাধিরোহণ করেন। এতদুপলক্ষে লণ্ড কজ্জন দিল্লীতে একটা বিরাট দরবারের অনুষ্ঠান করিয়াছিলেন। লর্ড কর্ষনের আমলে তিব্বত যুদ্ধ ঘটে। লর্ড কৰ্দ্ধন, সৰ্ব্ব বিষয়ে একজন প্রতিভাবান শাসনকৰ্ত্ত ছিলেন। কয়েক বৎসর হইল, চৌরঙ্গী-রোডের ও আউটরাম ষ্ট্রীটের সন্ধিস্থলে, লর্ড কজ্জনের প্রতিমূৰ্ত্তি স্থাপিত হইয়াছে। লড কিচনার। লর্ড কিচনার, লর্ড কজ্জনের শাসনকালে, সমগ্র ভারতের জঙ্গীলাট বা কমাণ্ডার ইন্‌চিফ, ছিলেন। বর্তমানকালে, তাহার মত, বীরাগ্রগণ্য কুণকুশল সেনাপতি খুব কমই আছেন। র্তাহার সমর-প্রতিভা, দিকদিগন্তে বিঘোষিত। গত জাৰ্মাণ যুদ্ধের সময়, লর্ড কিচেনার War Minister এর পদে নিযুক্ত হইয়া অতুলনীয় প্রতিভার সহিত, সমগ্র ব্রিটিশবাহিনী পরিচালিত করেন । লর্ড কিচেনার, সেনাবিভাগের বহুবিধ সংস্কার করিয়া গিয়াছেন। গড়ের মাঠে কেল্লার সান্নিধ্যে, তাহার প্রতিমূৰ্ত্তি স্থাপিত আছে। বঙ্গেশ্বর লর্ড কারমাইকেল, এই পিত্তল-প্রুতিমার প্রথম আবরণ উন্মোচন করেন। প্রসন্নকুমার ঠাকুর। স্বনামধন্য প্রসন্নকুমার ঠাকুরের পরিচয়, আমরা ঠাকুর-গোষ্ঠীর বিবরণ প্রদানকালে পূর্ণভাবে দিব। প্রসন্নকুমারের প্রদত্ত দানেই “Tagore Professorship of Law” নামকু হিন্দু-আইন সম্বন্ধীয় লেকৃচারের ব্যবস্থা হয়। প্রসন্নকুমার ঠাকুর একজন আইনজ্ঞ ব্যবহারজীব ও সৰ্ব্ববিধ দেশহিতকর কার্য্যের সমর্থক ছিলেন । এই প্রস্তর মুক্তির নিয়ে— “জন্ম ১৮০১ খ্ৰীষ্টাৰ ২১ ডিসেম্বর ও মৃত্যু ১৮৬৮ খৃষ্টাৰে ৩১ আগষ্ট”— এই কথাগুলি খোদিত। বঙ্গবাসীগণের মধ্যে তিনিই সৰ্ব্বপ্রথমে বড়লাট সাহেবের