পাতা:কাব্যের কথা - চিত্তরঞ্জন দাশ.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SòRVe কাব্যের কথা কোন অমঙ্গল আনে না, তাহাই সুন্দর ও যথার্থ কল্পকলা । তাহদেরও আমি বলব।--ইহ বাহা । কল্পকলা যদি শুধু আমাদের আনন্দ ও আমোদের জন্যই হয়, তাহা হইলে তাহার স্বাধীন ধৰ্ম্ম থাকে না, তাহার আত্মবিকাশ হয় না, আমাদের কতকগুলি ভাবের খেয়ালের ছাচে পড়িয়া তাহার জীবনের আসল প্ৰাণটুকু মরিয়া যায় । তাহার কোন সার্থকতা হয় না। সত্য তখনই সুন্দর হয়, যখন তাহার এই বহিরাবরণের ভিতর ছাপাইয়া সে মুক্তপক্ষ বিহঙ্গমের মত ভাবকে বন্ধন হইতে মুক্তি দেয়। মানব-প্ৰকৃতির গভীর হইতে গভীরতম প্রদেশের যে প্ৰাণের খেলা, তাহাই ‘যখন সে প্ৰকাশ করে, যখন আত্মার নিগুঢ় কথাটি ব্যক্ত হইয়া উঠে, তখনই কল্পকলার রূপসৃষ্টি হয়। বিশ্বের অনন্ত রহস্যময় ঘরের দুয়ার যাহা DBLD SBD uES SS0LLD DBS KSSBBS DDBBBDD DBDkDJD BDS কথা, কাম-কামনার অতীত যে মাধুৰ্য্য, সেই আত্মার রসভোগের ষে ব্যঞ্জনা, বিশ্বশক্তির যে মূৰ্ত্ত স্বচ্ছুরণ, মানব ও বিশ্বপ্রকৃতির আত্মায় আত্মায় যে রমণ, কল্পকলা তাহারই চাবি,-সেই চাবি ঘুরাইয়া আত্মা নিজের রূপের আদর্শটিকে সেই অনন্ত রহস্যময় ঘরের দুয়ার খুলিয়া বাহির করিয়া আনে। ] বিশ্বের যে দিকে নয়ন মেলিয়া চাহিয়া দেখি,- দেখি, প্ৰতি পত্রে প্রতি রঙে, প্রতি রূপে সেই আত্মার প্রতিরূপ। ঋতু আবৰ্ত্তন ও বিবৰ্ত্তনে মানবের কাৰ্য্যকারণের সম্বন্ধে, প্ৰকৃতির বিপ্লব বৰ্হিদাহে, মানুষের নিজকৃত স্বকপোলকল্পিত নানা শক্তির বিকাশে, এক মহা সুশৃঙ্খলা-বিশৃঙ্খলায় যেন এই বিশ্ব অহৰহ আন্দোলিত হইতেছে। অাখির সম্মুখে বাস্তব সত্য-জগৎ প্ৰতিভাত, কিন্তু তাহাতে সেই অন্তরতমের ষে রূপ, তাহা আমাদের চোখে পড়ে না । কল্পকলা সেই অন্তরের রূপটিকে বিশ্বের