পাতা:কাব্যের কথা - চিত্তরঞ্জন দাশ.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V কাব্যের কথা এক কৰ্ণ বলে, আমি কৃষ্ণনাম শুনিব, আর এক কৰ্ণ বলে, আমি বধির হয়ে র’ব । এক নয়ন বলে, আমি কৃষ্ণরূপ দেখি, আর এক নয়ন বলে, আমি মুদিত হয়ে থাকি । এক করে সাধ করে, ধরে কৃষ্ণ করে, আর এক করে, করে করে নিষেধ করে তারে । এক পদে কৃষ্ণপদে যাইবারে চায় আর এক পদে, পদে পদে বারণ করে তায় । রাধিক কৃষ্ণবিরহে অজ্ঞান । সখীরা তাহার কানে কৃষ্ণনাম উচ্চারণ করিল। আমনি রাধিকার কৃষ্ণস্ফুৰ্ত্তি ! বহুদিন পরে মোরে মনে করে এসেছিল। ঘরে বঁধু যে আমার। আমি জানলাম জানলাম— বঁধুর শ্ৰীঅঙ্গের গন্ধে পশি নাসারান্ধে, মৃতদেহে কবুলে জীবন সঞ্চার। সখি ! আমি ছিলাম অচেতনে, ভাল, তোরা ত ছিলি চেতনে, হায় হায় ! যতনে রতনে, পেয়ে নিকেতনে, কুন অযতনে शब्रांब्लि अवांब । এইরূপ ভাষা এখন আর শুনিতে পাই না । নিধুবাবুর “তোমারি তুলনা প্ৰাণ তুমি এ মহীমণ্ডলে”, কিম্বা বিহারীলালের “নয়ন অমৃতরাশি প্রেয়সি আমার !” এইরূপ অনেক কবিতা বঙ্গভাষার আদরের সামগ্ৰী । আজকালকার কবিতা পড়িলে মনে হয় যেন আমাদের ভাব, ভাষা,