পাতা:কাব্যের কথা - চিত্তরঞ্জন দাশ.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8& কাব্যের কথা কত মধুযামিনী রফিসে গমাওল ন বুঝল কৈসন কেল! লাখ লাখ যুগ হিয়। হিয় রাখল তৈঁও হিয় জুড়ন না গেল ৷ যত যত রসিক জন রসে অনুমগন অনুভব কাহে ন পেখি । বিদ্যাপতি কহ প্ৰাণ জুড়াইত লাখে ন মিলন এক ৷” আমার মনের ধারণা যে, লোকে এই কবিতাটিকে অতি শ্রেষ্ঠ বলে, তাহার কারণ র্তাহারা চণ্ডিীদাসের পদাবলী আলোচনায় যে রসজ্ঞান লাভ করিয়াছেন, তাহাই বিদ্যাপতির এই পদের উপর আরোপ করিয়া তাহার এত গভীর অর্থ করেন। বিদ্যাপতির শেষ কথা হইল,- “লাখ লাখ যুগ হিয়। হিয় রাখল তৈঁও হিয় জুড়ন না গেল,” ইহা সেই চির-নূতন ভাবের রসোল্লাসের কথা। জন্ম হইতেই আমি রূপের মধ্যে নয়ন ডুবাইয়া ব্লাখিয়াছি, তবু সে রূপের সীমা পাইলাম না, লক্ষ লক্ষ যুগ ধরিয়া বঁধুকে বুকে বুকে করিয়া রাখিলাম, তবু এ হৃদয় জুড়াইল না, নয়নের তৃষ্ণা মিটাল না। বিদ্যাপতি এই মিলনের মধ্যে সেই অঙ্গামিলনের জন্য ব্যাকুল, তাহার আভাস জাগিয়াছে। বিশ্বের রূপ রস শব্দ স্পর্শ গন্ধকে তিনি জড়াইয়া ধরিয়াছিলেন, রূপ রস গন্ধও তঁহাকে তেমনি আগ্ৰহে জড়াইয়াছিল, তিনি তাহদের ভাল করিয়া চিনিতে পারেন নাই ; এদের সঙ্গে জন্ম হইতে দেখা শুনা, তবু তাহাদের পরিচয় ভাল করিয়া হয় নাই, আকাঙ্ক্ষার বস্তুকে বুকে বুকে করিয়াও র্তাহার তৃপ্তি হয় নাই । তিনি “প্ৰেয়”র মধ্যেই