পাতা:কাব্যের কথা - চিত্তরঞ্জন দাশ.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গলার গীতিকবিতা V? গিয়াছিল, তাহার ধৰ্ম্ম গিয়াছিল। রামপ্ৰসাদের গানে আবার তাহা ফিরিয়া আসিল । রামপ্ৰসাদের মাতৃভাবে, বাঙ্গলা মায়ের রূপে দেখা দিলেন। কখন মা আমার বাপের ঘর হইতে শ্বশুরঘরে যাইতেছেন, কখন কৈশোর ও যৌবনের মধুর অভিনয় করিতেছেন, কখন কোলের ছেলেকে হারাইয়া মা পাগলিনীর মত কঁাদিয়া আকুল হইতেছেন“আমার উমা এলো বলে রাণী এলোকেশে ধায়” বাঙ্গলার সেই আলিপনা দেওয়া ঘর, সেই তুলসীর বন। সেই গৃহস্থোয় আঙ্গিনা, সেই মুদুল মধুর বাতাস বহিয়া যায়। তার পর নিধুরাম ৰামু, হরু ঠাকুর, রূপচাঁদ পক্ষী প্ৰভৃতি কবিওয়ালারা আসিলেন । গানে দেশ তোলপাড় হইয়া গেল। সকলেই সেই কল্পকলার রূপান্তরে পৌছিতে যথেষ্ট সাধন করিয়াছেন। কিন্তু সে আদর্শে কেহই পৌছিতে পারেন নাই। রামপ্রসাদের সমসাময়িক ছিলেন আজু গোঁসাই, তিনি কতকটা রামপ্ৰসাদের ছাদ ধারণ লইয়াছিলেন, কিন্তু তাহার মত অবস্থায়, নিজেকে সে রূপান্তরে দাড় করাইতে পারেন নাই। তাহার পর নিধুবাবুর গান । তাহার এক নূতন কথা, নূতন ভাব, ভাষার দিক্‌ দিয়া দেশের জীবনকে আত্মস্থ করিবার প্রথম চেষ্টা তাহাতেই প্ৰকাশ দেখিতে পাই । তিনি গাইলেন। “নানান দেশে নানান ভাষা, বিনে স্বদেশী ভাষা, পুরে কি আশা কত নদী সরোবর কিবা ফল চাতকীর क्षांद्र-यज्ञ ८िन कडू शूराः श् िछुषः ॥” তখন হইতে বাঙ্গলা জাগিতে শিখিয়াছে। সে গানে যুগের অবতার, সাধক রামপ্রসাদ। রামপ্রসাদের পুর্বে কিছু দিন যে থামিয়াছিল,