পাতা:কৃষিদর্পণ - দ্বিতীয় ভাগ.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২০ # কৃষিদর্পণ । দুইটী কৌশল আছে তন্মধ্যে প্রথমটী স্বাভাবিক এবং দ্বিতীয়ট কৃত্রিম । স্বভাবত কোন কোন বীজের চরিায় কোন কোন বিশেষ গুণ উদ্ভূত হইয়া থাকে, তাহাতে ইহার পত্রের আকৃতি বা ফুল ও ফলের বর্ণ পরিবৰ্ত্তিত হইয়া যায়, কিন্তু কি কারণে এ রূপ ঘটে তাহার গৃঢ় তত্ত্ব অদ্যপি আবিষ্কৃত হয় নাই । অতএব এতদ্বিষয়ের এই মাত্র অবগত হওয়া গিয়াছে যে, কোন উদ্ভিদের কোন অংশে কোন প্রকার উৎকর্ষ জন্মিলে, তাহীর সেই অংশে সেই ৰূপ গুণ চিরকালই বিরাজমান থাকে এবং ঐ উদ্ভিদ্বদিগের বীজেতে ঘে চারা উৎপন্ন হয়, সেই চারা মুকৌশল সহকারে রোপিত হইলে তাহার সেই অংশে সেই গুণ প্রকাশিত হইতে পারে । যেমন এতদেশীয় আত্ম কাটালাদি যাহাদিগকে এক্ষণে অতি উৎকৃষ্ট্র রসাল ফল মধ্যে গণ্য করা যায়, তাহারা পুৰ্ব্বে এ ৰূপ ছিল না । স্বভাবতঃ এক্ষণে এৰূপ উৎকৃষ্ট হইয়া উঠিয়াছে । যেমন কলিকতা বটেনিক উদ্যানে আলফন্স নামক এক প্রকার আম্র অাছে, তাহার সদৃশ অস্ত্র আর কোন স্থানে দৃষ্টিগোচর হয় না । ইহার এত উৎকৃষ্টতার কারণ স্বাভাবিক কৌশলমাত্র, তদ্ভিন্ন আর কিছুই বোধ হয় না। শুড়ে নিবাসি খ্ৰীযুক্ত বাবু রাজেন্দ্রলাল মিত্রঙ্গ মহাশয়ের উদ্যানেও এক প্রকার অস্ত্র অাছে,