পাতা:কৌতুক-কাহিনী.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষণ্ডাসুর । SS) বলিতে পারি না। তুমি অবিলম্বে আমার সঙ্গে আইস, আমি তোমাকে ষণ্ডাসুরের বনে লইয়া যাইতেছি ; যদি রাত্রি মধ্যেই ষণ্ডাসুরকে বধ করিতে পাের, তবে প্ৰভাতের পূর্বেই কহিলন ত্যাগ করিতে পরিবে।” যুবরাজ কহিলেন,--“রাজপুত্রি, তুমি কিরূপে কারাগারে প্রবেশ করিলে এবং কোথাইবা আমার অস্ত্ৰাদি পাইলে ?” অরুণা আপনার অলঙ্কারশূন্য দেহ দেখাইয়া কহিলেন, —“আমার হার, বালা, বাজু ইত্যাদি সমস্ত, অলঙ্কার কারারক্ষকগণকে দিয়া তাহাদিগকে বশীভুত করিয়াছি। তাহারা আমাকে তোমার অস্ত্ৰাদি দিয়াছে ও কারাগারে প্রবেশ করিতে দিয়াছে।” শুনিয়া ভূবিজয় কথা কহিতে পারিলেন না, মুখ ফিরাইয়া চক্ষু হইতে কয়েক বিন্দু অশ্রু মুছিয়া ফেলিলেন। ক্ষণকাল পরে অরুণা কহিলেন,-“আইস !” রাজকুমার অরুণার সঙ্গে সঙ্গে চলিলেন । নগরেব বাহিরে এক মহাবিস্তৃত বন ; চন্দ্ৰলোকে যত দূর দৃষ্টি চলে তত দূর বন ব্যতীত আর কিছুই দেখা যায় না। অতি দূরে মেঘগৰ্জনের স্যায় শব্দ হইতে ছিল। অরুণা কহিলেন,-“এই বন ; ইহার ঠিক মধ্যস্থলে ষণ্ডাসুর বাস করে। ঐ শুনি, তাহার গর্জন কিছু কিছু শোনা যাইতেছে। অসুর রাত্ৰিতেও নিন্দ যায় না। এই বন অত্যন্ত নিবিড়, ইহার ভিতরে এক বার প্রবেশ করিলে দিকভ্ৰম হয়-সহজে বাহির হইতে পারা যায় না।” ভূবিজয় কহিলেন,-“তার জন্য ভাবনা নাই ; যদি অসুরকে বধ করিতে পারি, তবে বন আমাকে আবদ্ধ করিয়া রাখতে পারিবে না ; বৃন। कशि अरियु कब्रिय ।”