পাতা:খনার বচন - রামলাল শীল.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করিয় । জ্যোতিষ শাস্ত্র শিক্ষা দিতে লাগিলেন। ঠিক এই সময়েই রাজা বিক্রমাদিত্যের নবরত্নের সভায় বরাহ নামক পণ্ডিতের একটি পুত্রসন্তান জন্মে। বিধাতার কি আশ্চর্য্য কৌশল-- কি ঐশ্বরিক লীলা। বরাহ, গণনা বিষয়ে বিচক্ষণ হইয়াও ভ্রমবশতঃ পুত্রের শতবর্ষ গরমায়ূস্থলে দশমবর্ধমাত্র স্থির করিয়া দারুণ বিষাদে এক তাম্রনিৰ্ম্মিত পাত্রে করিয়া সমুদ্রের জলে ভাসাইয়া দেন। পরে লঙ্কাদ্বীপের নিকট ঐ পাত্র ভাসিতে ভাসিতে যাইলে ঐ সকল রাক্ষস দেখিতে পাইয়া তুলিয়া লয় এবং মিহির নাম প্রদান করিয়া খনার ন্যায় উহাকে লালন পালন করিতে থাকে। জ্যোতিষ শাস্ত্রে মিহিরও বিলক্ষণ ব্যুৎপন্ন হইয়াছিলেন, তবে ক্ষণার ন্যায় তাহার সদৃশ বুদ্ধির প্রথৰ্য ছিল না। রাক্ষসেরা মিহিরকে থনার যােগ্যপাত্র বিবেচনা করিয়া বিশেষতঃ উভয়েই মনুষ্যসন্তান, তাহাতেই মিহিরের সহিত খনার বিবাহ দিলেন। রাক্ষসদিগের নিকট যদিও তাহাদের কোন অযত্ন হইতে ছিল না, তত্রাচ তাহাদিগকে নরভক্ষক দেখিয়া ও তাহাদিগের নানা প্রকার কুৎসিত ব্যবহারে অসন্তুষ্ট হইয়া উভয়েরই তথা হইতে পলায়ন করিতে ইচ্ছা হইল; কিন্তু রাক্ষসের, দশ, চতুদ্দিকেই রাক্ষস প্রহরী, তাহার উপর সমুদ্র মধ্যে দ্বীপের উপর অবস্থিতি, কিরূপে পলায়ন করিবেন তাহাই বিষম ভাবনা। একদিন আহারে বসিয়াছেন এমন সময়ে মহেন্দ্রক্ষণ যাইতেছে জানিয়া, খনা ও মিহির উভয়ে বসিয়াই আপন আপন পদ বাড়াইয়া যাত্রা করিয়া লইলেন। দূরে এক রাক্ষস ছিল, সে এই ব্যাপার দেখিয়া উহাদিগের পালক-প্রধান রাক্ষকে জানাইল।।