পাতা:খনার বচন - রামলাল শীল.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মিহির তখন জলে পড়িয়া গ্রন্থ পূনরুত্তোলন করিতে যাইলেন, কিন্তু আমাদিগের দুর্ভাগ্য বশতঃই সমগ্ৰথও আর প্রাপ্ত হইলেন না, কতক ইতিপূৰ্বেই অনেক দূরজলে ভাসিয়া গিয়াছিল। যাহা হউক (পথিমধ্যে আরাে অনেক ঘটনা ঘটিয়া থাকিতে পারে) মিহির পিতার নিকট গমন করিয়া তাহার ভ্রম ঘুচাইলেন এবং পিতাও বহুদিনের পর আপন হারানিবিকে প্রাপ্ত হইয়া ও ততােধিক গুণবতী স্ত্রীকে বিবাহ করিয়াছেন দেখিয়া যারপরনাই আহলাদিত হইলেন। স্বামী বা শ্বশুর যে সকল প্রশ্নের উত্তর করিতে পারিতেন না, খনা সে সকল উত্তর মুখে মুখে দিতেন • সুতরাং খনার যশঃ সৌরভ অত্যল্পকাল মধ্যেই চতুর্দিকে ব্যাপ্ত হইল। কিন্তু তাহার বিদ্যাই তাহার কাল হইল—রাজা তাহাকে আপন সভায় দেখিবার জন্য ও তাহাকে ও এক পণ্ডিতরূপে নিকট রাখিবার জন্য বরাহকে আদেশ করেন। কুলবধূকে বাটার বাহিরে যাইতে দেওয়া নিতান্ত অসঙ্গত ও কি জানি কি ঘটিতে কি সুটিবে ভাবিয়া পুত্রের সহিত পরামর্শ করিয়া তাহার বাগ্মীতলােপ করিবার বাসনার জিহ্বা দেন করিবার সঙ্কল্প করিলেন। খনাও ইতিপূৰ্ব্বে গণনা দ্বারা জানিয়াছিলেন যে তাহার এই প্রকার মৃত্যু হইবে, অতএব তিনিও ইহাতে আপত্তি করিলেন না । পরদিবস স্বামী মিহির যখন তঁাহার জিহ্বা কৰ্ত্তন করিলেন, (হা বিক। মনুষ্যের স্বার্থপরতা) খনা স্বামীর মুখপানে সজল নয়নে চার্থিরা। ইহধাম ত্যাগ করিলেন।