পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88૪ গল্পগুচ্ছ দাঁড়াইলেন। মাসেফ নবগোপালবাব তাঁহার সাক্ষ্যই প্রামাণ্য করিয়া মকদ্দমা ডিসমিস করিয়া দিলেন। ভট্টাচাষের খাস প্রজারা ইহা লইয়া গ্রামে ভারি উৎসব সমারোহ आग्नच्छ कब्रिग्ना मिल। शब्रश्ब्र उाछ्राउज्जि उाशनिशाक थाभाईंल्ला मिरजन । नारब्रव वानिज्ञा পরম আড়ম্বরে ভট্টাচায্যের পদধলি লইয়া গায়ে মাথায় মাখিল এবং আপিল রজ করিল। উকিলরা হরিহরের নিকট হইতে টাকা লন না। তাঁহারা রাহমপকে বারবার আবাস দিলেন, এ মকদ্দমায় হারিবার কোনো সম্ভাবনাই নাই। দিন কি কখনও রাত হইতে পারে। শনিয়া হরিহর নিশ্চিত হইয়া ঘরে বসিয়া রহিলেন। একদিন জমিদারি কাছারিতে ঢাকঢোল বাজিয়া উঠিল, পঠিা কাটিয়া নায়েবের বাসায় কালীপজা হইবে। ব্যাপারখানা কাঁ। ভট্টাচাৰ্য খবর পাইলেন, আপিলে তাঁহার হার হইয়াছে। ভট্টাচাষ মাথা চাপড়াইয়া উকিলকে জিজ্ঞাসা করিলেন, "বসন্তবাব করিলেন কী। আমার কী দশা হইবে।” দিন ষে কেমন করিয়া রাত হইল বসন্তবাব তাহার নিগঢ়ে বত্তান্ত বলিলেন, “সম্প্রতি যিনি নতন অ্যাডিশনাল জজ হইয়া আসিয়াছেন তিনি মন্সেফ থাকা কালে মন্সেফ নবগোপালবাবরে সহিত তাঁহার ভারি খিটিমিটি বাধিয়াছিল। তখন কিছু করিয়া উঠিতে পারেন নাই; আজ জজের আসনে বসিয়া নবগোপালবাবরে রায় পাইবামাত্র উলটাইয়া দিতেছেন; আপনি হারিলেন সেইজন্য।” ব্যাকুল হরিহর কহিলেন, “হাইকোটে ইহার কোনো আপিল নাই?” বসন্ত কহিলেন, "ক্তজবাব আপিলে ফল পাইবার সম্ভাবনামাত্র রাখেন নাই। তিনি আপনাদের সাক্ষীকে সন্দেহ করিয়া বিরাধ পক্ষের সাক্ষীকেই বিশ্বাস করিয়া গিয়াছেন: হাইকোটে তো সাক্ষীর বিচার হইবে না।" বন্ধ সাশ্রনেত্ৰে কহিলেন, “তবে আমার উপায় ?” উকিল কহিলেন, "উপায় কিছই দেখি না।” গিরিশ বস পরদিন লোকজন সঙ্গে লইয়া ঘটা করিয়া ব্লাহরণের পদধলি লইয়া গেল এবং বিদায়কালে উচ্ছসিত দীঘনিশবাসে কহিল, “প্ৰভু, তোমারই ইচ্ছা।”