পাতা:গীতসাহিত্যে শ্রীভক্তিবিনোদ.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

གྱིག་ গীতাবলী * סם ל আলোচনা করিয়া মুর্থ ও পণ্ডিত সমভাবে শাস্ত্রের প্রকৃত তাৎপৰ্য্য অবধারণ করিতে পারেন, অন্য গ্রন্থ হইতে উপদেশ-সংগ্রহের অবশ্যকতা থাকে না । ঠাকুর ভক্তিবিনোদ তাহার গীতাবলীর শ্রেয়োনির্ণয়-পরিচ্ছেদে কিরূপ সাধারণ যুক্তির দ্বারা সম্বন্ধ-জ্ঞানের উপদেশ দিয়াছেন, তাহা বিচার করিলে চমৎকৃত হইতে হয়। ঠাকুর ভক্তিবিনোদ বৃিভিন্ন মনোধৰ্ম্মি-সম্প্রদায়ের নানা কাণ্ড, নানা মত, নানা পথ বা “যত মত, তত পথে’র যে মূল্য নিঃশ্ৰেয়স লাভের পক্ষে খুবই কম, বরং প্রতিবন্ধক বা উপাধি, তাহ অতীব দুঃখের সহিত জানাইয়াছেন। ঠাকুর নরোত্তম “জ্ঞান, কৰ্ম্ম করে লোক, নাহি জানে ভক্তিযোগ, নানা মতে হইয়া, অজ্ঞান। তা’র কথা নাহি শুনি, পরমাৰ্থ-তত্ত্ব জানি, প্ৰেমভক্তি ভক্তজন-প্ৰাণ ৷” প্রভৃতি পদের মধ্যে যে-সকল কথা বিনা যুক্তিতে কীৰ্ত্তন করায় অন্যাভিলাষী ব্যক্তিগণ ঠাকুর নরোত্তমকে “গোড়া একঘেয়ে” প্রভৃতি বলিয়া ঠাকুর মহাশয়ের চরণে অপরাধ করিয়াছে, ভক্তিবিনোদ তাহাই সংক্ষিপ্ত, পরিমিত ও সারগর্ভ যুক্তির সহিত কীৰ্ত্তন করিয়া সত্যানুসন্ধিৎসুর পরম মঙ্গল বিধান করিয়াছেন । তিনি শ্ৰেয়ােনির্ণয়ে বলিয়াছেন— “কৃষ্ণভক্তি বিনা কাভু নাহি ফলোদয় । মিছে সব ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম জীবের উপাধিময় ॥