পাতা:গৃহশ্রী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

y G8 (? ਭੇ কোথাও পাই নাই। আমি আনন্দে বিভোর ছিলাম, আমার ক্ষুধা তৃষ্ণা ছিল না,-কি ভাবে দিনরাত কাটাইয়াছি, তাহা আমাব মনে নাই । দান, সেবা ও প্ৰেম, -এই সংসারে সেই দেবমন্দিবের পথে মানুষকে লইয়া যায। নারিকেল-বৃক্ষকে সাধারণতঃ হিন্দীগণ জাতিতে ব্ৰাহ্মণ বলিযা থাকেন ; উহা অতি উচ্চ হইয়া আমাদেব মাথা ছাড়াই যা চলিলা গিয়াছে, নিজেকে রক্ষা করিবাবি জন্য নহে। নিজের মূল তো মানুধেব হাতেপ কাছে পড়িসা আছে, একটা কুড়ালি দিয়া আঘাত করিলেই তরুটি এখনই পড়িয়া যাইবে । কিন্তু লোক দৃষ্টি হইতে দূরে থাকিয়া সাধনা করিবার জন্য সে এত উঁচু হঠাসা উঠিসাছে । সে সাধনার ফল মানুষকে দিবে বলিসাই সে তাত রক্ষা করিতে এত যত্নপর। পাছে ফল পুষ্ট হইতে না হইতেই লোক তাহা নষ্ট করিয়া ফেলে, এই জন্য দূরে বসিলা সে সাধনা করিতেছে। সেই ফলে লোকের ক্ষধা ও পিপাসা একেবারে নিবারণ করিবে, এই সাধনা। সাধুরা মানব-সমাজ তইতে দূরে থাকিয়া এই ভাবে সেই সমাজের শুভ-সাধনা করিয়া থাকেন। বৃক্ষ নিজে বৃষ্টি ও রৌদ্র ভোগ করিয়া শুকাইয়া মরিলেও কাহারও নিকট কিছু চাহে না । যে ব্যক্তি কুড়ালি দিয তাহার শাখা কাটিতেছে, তাহাকে নিজের ছায়া হইতে বঞ্চিত করে নাই, যে চাহিতেছে, তাহাকেই অকাতরে ফুলাফল বিতরণ করিতেছে। এই ত্যাগের কারণ কি ? কি সুখে এত কষ্ট সহিয়া সে জীবের উপকার করিতেছে ? সে নিভৃতে অন্যের অগোচরে তাহার কোমল শিকড়রূপ হস্তে দৃঢ়ৰূপে ধরিয়া জননীর স্তন্যপানে বিভোব রহিয়াছে, অমৃত পান করাতে তাহার স্বভাব অমৃতময় হইয়া গিয়াছে। গোপনে আনন্দময়ের প্ৰেমরস দ্বারা হৃদয় পুষ্ট রাখিলে, সংসারের দুৰ্গতি কি করিতে পারে ? বিপদ ব্যাভ্রের মত আসিয়া মেষের ন্যায় হইয়া ठू८श्फ्द्र उभूङ श्रीन