পাতা:গৃহশ্রী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৃহশ্ৰী లి এটা কি দেখার বিষয় নহে ? এই ব্যয় করিয়াই কোন কোন ছেলে জীবনে চরমোন্নতি লাভ করিয়া সমাজের ভূযণ স্বরূপ হইতেছে, অথচ 'অধিকাংশ স্থলে মনস্বিতা থাকা সত্ত্বেও ছেলের ভাবী উন্নতি নিফল ভািটয়া পড়িতেছে ; পিতামাতা এ বিষদে উদাসীন না থাকেন, ইহাই অনাব বক্তব্য। ইতা নিশ্চয় জানিবেন, পরের উপর সম্পূর্ণ ভার দিলা নিশ্চিন্ত থাকা। এ সংসারে চলে না । নিজের দেখিবার ক্ষমতা না থাকিলে "মজ্ঞাতসারে যে ক্ষতি সংসারের উপরে "আসিয়া পািড়বে, তাহা আনিবাঘ্য । মেয়েদের বিদ্যালয়ে যাইয়া কুসঙ্গীর হাতে পড়িবার সম্ভাবনা অল্প, কিন্তু তাহদের অনেক সময় শিক্ষার উন্নতি ভাল হয় না । শিক্ষকের এবং শিক্ষা প্ৰণালীর দোষেই এরূপ ঘটিয়া থাকে । অনেক সময় স্কুলে ৫ ঘণ্টা আবদ্ধ থাকব ফলে মেয়েদের あ মেয়েদের স্কুলে যাওয়া স্থুক্তি কমিয়া যায়, তাহারা রোগ হইয়া পড়ে । কপিলাবণ্য যখন মেয়েদের একটা প্রধান মূলধন, তখন তাহ খোয়ান উচিত নহে । গৃহিণী যতটা শিক্ষিত হইবেন, সেই পরিমাণে শিশু-সন্তানের উন্নতি সাধনের যোগ্য হইবেন । তিনি সকল বিষয়েই শিশু সন্তানের ভাবা জীবন স্মরণ করিয়া এই সমস্ত বিষদে উন্নতির অনুকূল শিক্ষার ব্যবস্থা করিবেন। অনেক গৃহিণীই ছেলেদের উন্নতির দিকে লক্ষ্য রাখেন না । শিশু শাখন হাটিতে শিখিল, তখন হইতেই তাহার একটু একটু শিক্ষার দরকার। অনেক সময়েই দেখা যায়, অপেক্ষাকৃত বড় ছেলে মেয়েদের ও অভ্যাসের দোষে বিছানা শাস্ত্ৰ শাস্ত্ৰ নষ্ট হইয়া যায়। গৃহিণী অনায়াসে এ সম্বন্ধে ছেলেদের অভ্যাস ভাল করিয়া দিতে পারেন । ঠিক সময়ে শিশুকে শয্যা হইতে নামাইলে তাহার অভ্যাস। শীঘ্রই সংশোধন হইয়া যাইবে । যিনি সংসারের জন্য বহু শ্রমসাধ্য কাৰ্য্য করিতে কুষ্ঠিত নহেন, যিনি রাতদিন উনানের জ্বলন্ত অগ্নির ধারে বসিয়া

  • J १५:श्ी १६व्ऊं!