8 Փ १श्5ी সঙ্গে শুনিতাম ও দেখিতাম, তাহার স্থলে আমরা থিয়েটার পাইয়াছি। এই থিয়েটার-সম্বন্ধে আমি বেশী কিছু বলিতে চাহি না । বৰ্ত্তমান বঙ্গীয থিয়েটারগুলির রুচি ও প্রলোভন তরুণ বয়স্ক বালক-বালিকাগণকে যে পথে লইয়া যায়, তাহার শেষ কোথায়, "আপনারাই কল্পনা করুন। এই দিকে শিশুদিগেল ঝোক না হয়, গৃহিণীগণ তাহা দেখিবেন । সে ভূত এক ধার কাধে চাপিলে নামান শক্ত। যদি ধৰ্ম্ম বা উচ্চভাবমসক কোন নাটক অল্পকালেন্স জন্য ছেলেরা অভিনয় করিতে পাবে, তবে ততদুব অমঙ্গলের সম্ভাবনা নাই, qari ক সময় তাঙ্গা নির্দোধ আনোদের জিনিসই হইয়া থাকে ; কিন্ধ এ গ্ৰহ সূত্রে যদি সাধারণ নাট্যশালা গুলির অভিনয় দৰ্শন করিয়া যোগ্যতা লাভের চেষ্টা ভয, তবে সেই শিক্ষার চে%া অনেক সময় মারাত্মক হই যা উঠিবোঁ । প্ৰাস ৭০ বৎসর পূর্বে বঙ্গীয় কোন কবি এক কবিতা লিখিয়াছিলেন, ৩াহার ভাব এই যে, “হে মন, যদি নৃত্যই দর্শন করিখে, তবে বলে ধা হয় । মসুরেব নৃত্য দেখিযা আইস ; আলোকমালাসাজিত আসিব দেখিবার তাঁচ** ইষ্টলে নর্থ এবেষ্টিত পূৰ্ণচন্দ্রের সভা দেখিযা লাও ; যদি গান শুনিবে, তবে, কোকিলোর কাকলির মত মিষ্ট কি আছে ?” এই সকল দেখিতে বা শুনতে হইলে বৃথা অর্থক্ষয় হয় না, এবং আসনের তারতম্য হেতু শ্রোতা বা দর্শকের মনে জ্বালার উৎপত্তি হয় না ; প্রকৃতির উৎসবেক অবারিত দ্বার, সেখানে বাজা প্ৰজাবি তুল্য অধিকার । প্ৰকৃতি চারিদিকে নিত্য যে মহোৎসব কবিতেছেন, তাহা দেখি বাপ ও বুঝিবার জন্যও হৃদয়ের শিক্ষার দরকার, সুতরাং কৰি যাহা বলিয়াছেন, তাহা ভাল ; কিন্তু মন্তস্থ্যোব সঙ্গীত ও সন্যস্যের নৃত্য দেখা পাপ, এ কথা কেহ স্বীকার করিবেন না । গানে ও নৃত্যে ভগবানকে পাওয়া যায় ; রামপ্রসাদ গান করিয়া তাহাকে পাই যাছিলেন, চৈতন্যদেব নৃত্য করিয়া তাহাকে পাই যাছিলেন।
