পাতা:গৃহশ্রী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( Ν. গৃহশ্ৰী দরিদ্র গৃহস্থের পক্ষেও এলেনবারী ফুডের খরচ সে তুলনায় অতি সামান্য হইবে । র্যাহার ঘরে গরু আছে, তিনি এ সম্বন্ধে নিশ্চিন্ত, কিন্তু সহরে কযজন গরু রাখিতে পারেন ? স্থানের অভাব, বিশেষ দোর্দণ্ড-প্ৰতাপ মিউনিসিপ্যালিটির টুপি-ওয়ালা পরিদর্শকগণ গৃহস্থের গরু থাকিলে তাহাকে অনেক সময় অতি নিদয়ভাবে ভয় দেখাইয়া থাকেন ; অতিসূক্ষ্ণ মিউনিসিপ্যাল বিধির প্রত্যেকটি অক্ষর মান্য করি যা গরু পোষা কযজনের ভাগ্যে ঠাইতে পারে ? শিশু বড় হইয়া উঠিলে সর্বদাই তাহার আহারের সময় মাতার পস্তিত থাকা প্রয়োজন । অধিকাংশ সময মাতা তাহাকে কাছে বসিয়া খাওয়াইয়া থাকেন । কিন্তু কোন কোন ঘরে মাতা এ বিষয়ে গদাসীন। বঁধুনীর হাতেই এই ভার অপিত হাইঘা থাকে । কলিকাতার বাড়ী-ঘরের পাশ্বে নানাবিধ স্বরে ফেরিওয়াল তেলেভাজা জিলিপি, এক পয়সায় বত্ৰিশভাজী, ঘুগনি, মটর-ভাজা, পাপ, র- ভাজা, ফুলুরী প্ৰভৃতি ফেরি করিয়া বেড়ায় ; তাদের আহবান অনেক সময় ছেলেদের নিকট ভ্ৰমর-গুঞ্জনের ন্যায় মিষ্ট। অনেক সময় মিহি সুরে ঘুগনি-দানার ছড়া গাইয়া ফেরাওয়ালারা শিশুগণের মনোহরণ করিযা থাকে । এই সকল বস্তু কিনিয়া খাওয়া ছেলেদের একটা রোগ হইয়া দাড়ায় ; বাজারেব পচা খাবার খাওয়ারও অভ্যাস অনেকের আছে । কলিকাতার শিশুবৰ্গ এইরূপ ফেরী ওয়ালার হাতে পড়িলে, তাহাদের আর উদ্ধাব নাই। ঐ সকল খাবার শুধু স্বাস্থ্যের হানি করে, এমন নহে, উহাতে একেবারে ক্ষুধা নষ্ট করে ; বালকের ঐগুলি দিয়া পেট ভরিয়া ফেলিলে ভাত খাইতে চায় না । তাহারা ভাত না থাইয়া ক্রমশঃ শুকাইয়া যায়--কলিকাতা সহরে অনেক ছেলে ১৮-২৫ বৎসরের মধ্যে থাইসিস পীড়ায় ভুগিয়া থাকে ; অন্নের দুভিক্ষাবশতঃই অনেক সময় এই ব্যাধির সৃষ্টি 远 ८श द्र` ' ,iॐ}