কাতরাএ থাকি ঠাকুর দোহাই ফিরাইল।
তৈলপাটের খাড়া খেতু পাক দিয়া ফ্যালাইল॥[১]
- ↑ একটা পাঠে অতিরিক্ত অংশ:—
জখন খেতু ছোড়া এ সংবাদ শুনিল।
খেতু বলে শুন ঠাকুর বাক্য আমার ন্যাও।
আমি খেতু জদি রাজা হই পাটের উপর।
আমার গনন দ্যাও আরও গনিয়া।
তবনিসে ধরি জাব তোক দরবারক নাগিয়া॥
পণ্ডিত বলে হারে খেতু এই তোর ব্যাবহার।
মৈসুরার মাঝে রহিল আমার গর্ধনা পড়িয়া।
ক্যামন করিয়া তোর গননা দ্যাওঁ আরও গনিয়া॥
জখন খেতু ছোড়া এ সংবাদ শুনিল।
হস্ত ধরি পণ্ডিতের টানিয়া তুলিল॥
চণ্ডি বলে হারে পণ্ডিত কার প্রানে চাও।
মিত্থা মিত্থা গনি যাও খেতুর বরাবর।
সত্য গননা গনি দ্যাও বাজার দরবার॥
এই কথা বলিস খেতুর বরাবর।
এ সমএ আমি পাইলাম কুশল॥
মহারাজা জাবে আমার সন্ন্যাসক নাগিয়া।
তুই রাজা হবু খেতু পাটে বসিয়া॥
এও সকল পাবু রাজার শঙ্খ চক্র মোড়া।
তাজি টাঙ্গন পাবু নওশ হাজার ঘোড়া॥
বাড়ি মধ্যে পাবু রাজার দেউল ফুলের বাড়ি।
অন্ন খাইতে পাবু রাজার সুবন্নের থালি॥
জল খাইতে পাবু রাজার মানিকের ঝাড়ি।
পাটরানি পাবু রাজার হরিচন্দ্রের বেটি॥
শয়ন করিতে পাবু কুসুমের পালঙ্কি॥
জখন খেতু ছোড়া এ সংবাদ শুনিল।
পণ্ডিতের চরনে প্রনাম করিল॥