দুআরের নাগরা বাজিয়া উঠিল।২৩২৫
জত মোনে সিপাই সান্ত্রি সাজিতে নাগিল॥
গভীর নেঙ্গুল ধরিয়া বৈতরনি হইল পার।
রাজার পিতা মাতা বৈকুণ্ঠে হইল পার॥
পঞ্চ লোটা জলে ময়না ছিনান করিয়া।
হাসিয়ালী ঘরত সোন্দাইল লহর দিয়া॥
এক ভাত পঞ্চাস ব্যঞ্জন রন্ধন করিয়া।
তিনখান লইল অম্বলে মাজিয়া॥
হাড়ির লাগিয়া ময়না হুঙ্কার ছাড়িল।
তখনি হাড়ী আসিয়া খাড়া হইল॥
প্রথম থাল অন্ন দিল হাড়ীর বরাবর।
ফির থাল অন্ন নিলে ময়না সুন্দর।
ফির থাল অন্ন দিলে রাজার বরাবর॥
হাত মুখত জল দিয়া কোন কাম করিল।
স্রীকৃস্ট বলিয়া অন্ন মুখত তুলি দিল।
এক গাস দুই গাস পঞ্চ গাস খাইল॥
অন্ন জল খাইয়া তুষ্ট হইল মন।
ভিঙ্গার ঝাড়ীর জলে করিল আচমন॥
বাঁও ঠেঙ্গ তুলিয়া রাজার মস্তকে দিল।
কৈলাসর হাড়ী কৈলাসত চলি গেল।
রাজার পাট লইল পুস্কর করিয়া।
হনুমান দণ্ড ছত্র বেড়াইম সাজিয়া।
পাট হস্তি আইল সাজিয়া॥
রাজাকি পোসাক পড়িবার লাগিল।
সুড় দিয়া ধরিয়া রাজাক কান্ধত চড়াইল॥
বাইজ বাজনায় পাটত লইয়া গেল।
রাজার পাটত পরনাম করিল।
সুর দিয়া ধরি রাজাক পাটত বসাইল॥
দেড় বুড়ি কড়ি থাজনা সাধিবার লাগিল।
রাজার রাজ্যত সুখময় হইল॥