দিতেছি, যাহা তুই বুঝ্তে না পার্বি, তিনি তাহা তোকে বুঝাইয়া দিবেন। আহারান্তে আমি গিয়া অনুসন্ধানে প্রবৃত্ত হইব।
আগন্তুক। দোহাই ধর্ম্মাবতার! যাহাতে আমি আমার কন্যাটীকে পাই, আপনাকে সেই উপায় ক’রতে হ’বে।
দারোগা। তাহাই হইবে। এখন তুই আমার জমাদারের সহিত গমন করিয়া সাক্ষী-সাবুদের সংগ্রহ করিয়া দে। তুই লেখা-পড়া জানিস্ কি?
আগন্তুক। আমরা চাষার ছেলে, লেখাপড়া শিখি নাই।
দারোগা। নিজের নাম লিখিতে পারিস্?
আগন্তুক। না মহাশয়। আমি আমার নাম পর্য্যন্তও লিখিতে পারি না।
দারোগা। তোর নাম কি?
আগন্তুক। আমার নাম সেখ হেদায়েৎ।
দারোগা। আচ্ছা হেদায়েৎ, তুমি আমার জমাদারের সহিত তোমার গ্রামে গমন কর। আহারান্তে আমি নিজে গিয়া এই অনুসন্ধানে প্রবৃত্ত হইব। সাক্ষীগণ যেন উপস্থিত থাকে।
হেদায়েৎকে এই কথা বলিয়া, দারোগা সাহেব তাঁহার একজন সবিশেষ বিশ্বাসী জমাদারকে ডাকিলেন, এবং নির্জ্জনে অনেকক্ষণ পর্য্যন্ত তাহার সহিত কি পরামর্শ করিয়া পরিশেষে তাহাকে কহিলেন, “এই মোকদ্দমায় সবিশেষরূপে তোমাকে আমার সাহায্য করিতে হইবে। যে সুযোগ পাইয়াছি, সে সুযোগ কিছুতেই পরিত্যাগ করিতে পারিব না।