১৩২ ২১ মাঘ ১৩৩০ [কলকাতা] লক্ষ্মী মেয়ে, তুমি মনকে শাস্ত কর। তোমার জন্যেই আমি উদ্বিগ্ন হয়েছিলুম। যে একটা জটিল জালের মধ্যে তুমি জড়িয়ে পড়েছিলে, তার জন্যে অনেক পরিমাণে আমিই দায়ী বলে আমি ক্ষুব্ধ হয়েছিলুম। তোমার এই প্রথম বয়েস, এই সময়ে তোমার পড়াশুনো তোমার নিশ্চিন্ত হাসি উল্লাসের মাঝখানে এই সমভ উপদ্রব এনে তোমার সমত্ত জীবনকে এমন করে যে একটা ঘূর্ণিপাক খাইয়ে দেওয়া গেল সেটাতেই আমাকে দুঃখ দিয়েচে। তোমার উপর আমি কখনো এমন রাগ করতেই পারিনে যাতে তুমি স্থায়ীভাবে ব্যথা পেতে পার। আমার স্নেহ তুমি হারিয়েচ কল্পনা করে যে কষ্ট পাচ্চ তার কোনো মূল্য নেই। আমার যেস্নেহ তুমি এমন করে টেনে নিয়েচ সে আমি কোনোদিন কিছুতেই প্রত্যাহরণ করতে পারিনে। আমার স্নেহে যদি তোমার কোনো সাত্মনা থাকে, তাতে যদি তোমার হৃদয়ের ক্ষুধা মেটাতে পারে, তাহলে সে তুমি সম্পূর্ণ নিশ্চিন্ত মনে ভোগ কর— তার দ্বারা তুমি বল পাও, সুখ পাও, কল্যাণ পাও, এই আমি সৰ্ব্বাত্তঃকরণে প্রার্থনা করি। আমার কক্ষপথে কোথা থেকে কেমন করে তুমি একটি প্রাণের জ্যোতিষ্ক এসে পড়েচ, তোমার সংসারের অভিজ্ঞতা কিছুই নেই, তোমার মন কাচা, আমি কি তোমাকে রূঢ় ভাবে আঘাত করতে পারি? তোমার উপরে আমার বেদনাপূর্ণ স্নেহ সৰ্ব্বদা আপনি গিয়ে বিকীর্ণ হচ্চে। আমার জীবনের দায়িত্ব, কখন আমার অগোচরে, এবং জানিনে কার প্রেরণায় ক্রমশই বিশ্বব্যাপী হয়ে উঠচে– তার সমন্ডটার সঙ্গে তোমার সম্পূর্ণ ૨૭ જ