বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভৰ্ত্তি করে দিয়ে যাবেন। তাদের সঙ্গে দেখা করতে গেলুম। তারা বেণুকুঞ্জ” পরিপূর্ণ করে আছেন। আমাকে তাদের সঙ্গে হিন্দী ভাষায় আলোচনা করতে হয়েছিল। ভাগ্যে, তুমি কিম্বা শান্তি সেখানে উপস্থিত ছিলেন তাই “কে” এবং “কো” এবং “নে” এবং ছয়ী হৈ ও হুয়া হৈএর উপর দিয়ে নিৰ্ম্মমভাবে আমার জাপানী চটিসমেত হু হু করে চলে গেলুম– ওঁরাও দেখলুম প্রসন্ন মনে সয়ে গেলেন, পুলিসে খবর দিতে ছুটলেন না। বোধ হয় কদিন তোমাদের কাছে সেইসব হিন্দী দোহা শুনে শুনে আমার অনেকটা উন্নতি হয়েছে— সেইজন্যে আজ এইসব ভারী ভারি {য] জোয়ান মাড়োয়ারীদের সঙ্গে আধঘণ্টাকাল অনর্গল হিন্দী বলেও একটা ফৌজদারী বাধল না, শান্তিনিকেতনের শান্তি এখনো অক্ষুণ্ণ আছে। এমনি করে হিন্দী ভাষার উপরে ঘোরতর দৌরাত্ম্য করে যখন ফিরে আসচি এমন সময় এভুজ সাহেব আবার তার “ঘরে বাইরে" এবং খাতাপত্র হাতে আমার পিছন পিছন আমার ঘরে এসে হাজির হল । বেলা দুপুর পর্যন্ত তাকে সেই “ঘরে বাইরে" মুখে মুখে তর্জমা করে যেতে হল। তার পরেও তার যাবার ইচ্ছা ছিলনা— আমি নেহাৎ জোর করে উঠে নাইতে চলে গেলুম। আজ নাইতে তাই অনেক বেলা হয়ে গেল। কিন্তু আজ যে রকম বদলা, আজকের দিনে বেলার ঠিক পাওয়া যায় না। আকাশের ঘড়িতে সূৰ্য্যদেব কাটার মত পূব দিক থেকে পশ্চিম দিকে সময় ভাগ করে চলেন— কিন্তু আজ সেই আকাশ-ঘড়ির ডালা বন্ধ— সেইজন্যে মনে হচ্চে যেন সময় চলচেনা। আজ খাওয়ার পরে তোমাকে চিঠি লিখতে বসেচি। এই চিঠি লেখা শেষ না করে আমি শুতে যাবনা— এতে তুমি যদি রাগও কর তাহলেও আমি মানবনা। আমি তোমার নিয়ম প্রায় সবই মেনে চলচি। সেই অবধি আমি সভা করিনি— সকাল সকাল শুতে যাই। বিকেলে oat meal এর সঙ্গে মিলিয়ে একটু করে দুধও খেতে আরম্ভ করেচি। চুল নিজে নিজে যতটা পারি আঁচড়াই কিন্তু সে ভাল হয় না। এর মধ্যে একদিন কেবল ছেলেরা ૨G: